× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরজমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল / শিশু ওয়ার্ডের বারান্দায় কেটেছে তাদের ঈদ

এক্সক্লুসিভ

মোহাম্মদ ওমর ফারুক
১৭ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বারান্দা। একই বিছানায় শুয়ে আছে দুই শিশু। একজনের নাম হাসনাইন (৮) অন্যজন সৌরভ (১২)। হাসনাইন এসেছে কেরানীগঞ্জ থেকে। আর সৌরভ যাত্রাবাড়ী থেকে। ডেঙ্গু আক্রান্ত দুইজনই গত দশদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডের বারান্দায় চলছে তাদের চিকিৎসা। ঈদও কেটেছে তাদের হাসপাতালেই।
স্থান সংকুলান না হওয়ায় একই বিছানায় চিকিৎসা নিচ্ছে দুজন।
এই দুই শিশুর পাশেই বসা তাদের অভিভাবক। হাসনাইনের মা নাজমা বেগম বলেন, বাবুর জ্বর বুঝতে পেরেই স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেষ্ট করিয়েছি। সেখানেই ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। যেদিন ডেঙ্গু ধরা পরেছে ওই দিনই এখানে ভর্তি করিয়েছি। আজ দশদিন। এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে ঈদের দিন পোলাও, মুরগির মাংস দিয়েছিল। হাসনাইন এত খাবার খেতে পারেনি। ওখান থেকে আমিও খেয়েছি।
সৌরভের বাবা রাসেল মিয়া বলেন, এখনো কিছুই বুঝতে পারছি না। ডাক্তার বলছে আরো কিছু দিন থাকতে হবে। বাচ্চাটার প্রেসার ওঠানামা করছে। ঈদের দিন বাচ্চাটার আরো খারাপ অবস্থা ছিলো। ওই দিন কি যে কষ্ট হয়েছে তা বলার বাহিরে। হাসপাতালে অসুবিধা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবই ঠিক আছে। কিন্তু বারান্দায় তেলাপোকার উপদ্রব বেশি। রাতের বেলায় ঘুমানোর পর বাচ্চাদের নাকে মুখে ঢুকে পরে। নার্সদের কাছে বল্লেও কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না।
একই বিছানায় ৩ শিশু রেখেও চিকিৎসা করতে দেখা যায়। রোগীর অভিভাবকরা বলেছেন এভাবে তাদের বাচ্চাদের হিমশিম খেতে হয়। কোনোরকম ভাবে শুয়ে বসে চিকিৎসা নিচ্ছে এসব শিশু। শিশু ওয়ার্ডের বারান্দায় কথা হয় আরেক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর অভিভাবক আলমগীর হোসেনের সাথে। তার দশ বছরের সন্তান শান্তুনুকে নিয়ে গত আটদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন এই হাসপাতাতালে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঘুম নেই। হঠাৎ কাপুনি দিয়ে জ্বর আসে বাচ্চাটার। এখানকার ডাক্তাররা খুব সহযোগিতা করেন। তারপরও সরকারি হাসপাতাল নানান ধরনের সংকট লেগেই থাকে।
ঈদের পরের দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ছয় বছরের শিশু মগবাজারের নাজিবা আক্তার। তার মা আয়েশা আক্তার বলেন ,ঈদের পরের দিন হঠাৎ করে জ্বর আসে। একবার সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। এর পর ভয় পেয়ে সোজা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসি। এখন কিছুটা ভালো। কিন্তু ডেঙ্গু যে কি ভয়ংকর বাচ্চার না হলে বুঝতেই পারতাম না।
শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আজমেরী হক (৮) নামের এক শিশুর অভিবাবক শিখা আলী বলেন, হাসপাতলে কিছু অপ্রতুলতা আছে, কিন্তু চিকিৎসা সেবা ভালো। আমার মেয়েকে ঈদের দিন খুব খারাপ অবস্থায় এনে এখানে ভর্তি করিয়েছি। এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ঈদের দিন আমাদের পরিবারের কারো ঈদ হয়নি । বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটাছুটি করেই ঈদের দিন কেটেছে। আল্লার কাছে শুকরিয়া বাচ্চাটা এখন কিছুটা সুস্থ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর