× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেসবুকে তোলপাড়ের পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ /স্ত্রীর সম্মান রক্ষায় লাঞ্ছিত রুয়েট শিক্ষক

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
১৭ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার মণি চত্বরে স্ত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক রাশিদুল ইসলামের ঘটনায় অবশেষে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বিষয়টি জানতে পেরে নিজ উদ্যোগে সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো অভিযোগ না আসায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে বিলম্ব ঘটেছে বলে দাবি পুলিশের। বোয়ালিয়া  থানার ওসি তদন্ত মাহবুব হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষক রাশিদুল ইসলামকে তদন্তে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিলো। শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম এসে কোথায় ঘটনাটি ঘটেছিলো সেটি দেখিয়েছেন। তিনি জানান, আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। যেহেতু ঈদের আগে ওই এলাকায় অনেক ভিড় ছিল সে কারণে সময় লাগছে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ই আগস্ট রুয়েটের শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম তার ফেসবুক ওয়ালে হামলার ঘটনাটি জানান দেন। ঘটনার বিবৃতি দিয়ে ফেসবুকে রাশিদুল ইসলাম লিখেন, ‘‘মেনে নিন নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যান।
এদেশে আপনার চোখের সামনে আপনার মা, বোন অথবা বউ ধর্ষিত হলেও প্রতিবাদ করবেন না, আশেপাশে কাউকে পাবেন না। মার খেয়ে মরবেন। কারণ আপনি একটা জানোয়ার, আমিও একটা জানোয়ার, জানোয়ারে ভরা সমাজ আমাদের।

আজকের ঘটনাটা সংক্ষেপে বলি, সাহেব বাজার মণি চত্বর-এর মতো জনবহুল এলাকাতেও আমার বউ হেনস্থার শিকার হন। একপাল ছেলের মধ্যে একজন আমার বউকে পেছন থেকে কয়েকবার ইচ্ছাকৃত ধাক্কা দেয়। দুই-তিনবার সহ্য করলেও পরের বার প্রতিবাদ করি। ব্যাস, সোনার ছেলেদের দাপট শুরু। শেষে আমাকে সোনাদীঘি মসজিদের সামনে ৫-৭ মিলে ঘিরে ধরে মারা শুরু করে। এই পর্যন্ত না হয় মেনে নিলাম।

কিন্তু ওখানে কম করে হলেও ৫০ জন আমার মার খাওয়া দেখছিলো। একজনও এগিয়ে আসেনি। মার খাওয়ার এক পর্যায়ে আমি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলি, ‘বাঁচান আমাকে’, কোনো রেসপন্স পাইনি। একজন মোটরসাইকেল থামিয়ে আমার মার খাওয়া দেখছিলো, আমি সাহায্য চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে গেল।

মার খেয়ে কাপুরুষ আমি দর্শকদের বলি, ‘আপনারা আজ এগিয়ে এলেন না, একদিন আপনার বউয়ের সঙ্গে এমন হলেও কেউ এগিয়ে আসবে না। ও আমার বউ, গার্লফ্রেন্ড না, কাবিননামা দেখাতে হবে আপনাদের? এ সময় একজন ভিড়ের মধ্য থেকে বলে বসলো, ‘হ্যাঁ, কাবিননামা নিয়েই চলাফেরা করতে হবে।’
ধরেন, দ্বিতীয়বার আক্রমণে ওরা আমাকে মেরে ফেললো। কি করবেন? ফেসবুকে কান্নাকাটি? জাত গেল জাত গেল রব তুলবেন? কোনোটাই করবেন না দয়া করে, এতে কিছু আসে যায় না। আর যারা করবে, তাদের গিয়ে থুথু দিয়ে আসবেন। ধরেই নিয়েছিলাম, পিএইচডি শেষ করে দেশে ফিরবো, মা-বাবা চান না বাইরে সেটেল হই। এই ঘটনার পর দ্বিতীয়বার ভাববো অবশ্যই।’’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর