× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বরগুনায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, মেয়ে আটক

অনলাইন

বরগুনা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) আগস্ট ১৭, ২০১৯, শনিবার, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন

বরগুনার সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামের শহীদ খানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তার মেয়ে হালিমাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মেয়ের দাবি, কাজ করার সময় টাইলসের আঘাতে তার বাবা মারা গেছেন। বরগুনা সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মাদ হোসেন জানান, এলাকাবাসীর কাছে অভিযোগ পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

নিহত শহীদ খান বরগুনার সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুই বছর ধরে টাইলস মিস্ত্রির কাজ করার জন্য মেয়ে হালিমাকে নিয়ে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
নিহত শহীদের স্ত্রী রুবী বেগম ও এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার রাতে তুচ্ছ ঘটনায় বাবার সঙ্গে মেয়ের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মেয়ে হালিমা ধারালো বটি দিয়ে বাবা শহীদ খানের মাথায় একটি কোপ দেন। কোনো চিকিৎসা না পেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান শহীদ খান। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বাড়ির মালিক হানিফ মিয়ার সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে বরগুনার বুড়িরচড় ইউনিয়নের কামারহাটের নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন দিতে চান মেয়ে হালিমা।
কিন্তু এলাকাবাসী শহীদ খানের মাথায় কোপের চিহ্ন দেখে হালিমার কাছে মৃত্যুর কারণ জানতে চান। কিন্তু তিনি কোনো সদ্যুত্তর দিতে পারেননি। এ কারণে তাঁকে আটক করে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

শহীদ খানের মৃত্যুর ব্যাপারে ছেলে মুসা খানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি প্রথমে শুনেছি, স্ট্রোক করে মারা গেছেন। আমার কাছে কেউ কিছু বলেননি। কিন্তু বাড়ি আনার পর দেখি, আব্বার মাথায় দায়ের কোপের আঘাত।
অভিযুক্ত মেয়ে হালিমা বেগম দাবি করেন, তাঁর বাবা টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন। তিন-চারদিন আগে কাজ করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান। এতে তাঁর মাথা সামান্য কেটে যায়। তাঁর বাবার মাথায় ওই আঘাত কোপের না বলেও তিনি দাবি করেন। মাথায় আঘাত পাওয়ার পর তিনি নিজে তাঁর বাবাকে হাসপাতালেও নেননি বলে স্বীকার করেন।
বরগুনা সদর থানার ওসি আবির হোসেন মাহমুদকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, শহিদের মাথায় কাটা দাগ রয়েছে। গ্রামের স্বজনরা শহীদের মাথায় কোপের চিহ্ন দেখে শহীদের স্ত্রী রুবী, মেয়ে ও মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয়।
পুলিশ তিনজনকে আটক করলেও রুবীকে ছেড়ে দিয়ে মেয়ে ও মহিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের আটকে রেখেছে বলে জানান ওসি আবির।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর