সাঁথিয়ায় ডাকাতি করে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে দু’জন ডাকাত নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ছোন্দহ গ্রামে পাউবো’র নিষ্কাশন ক্যানেলে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড তাজা গুলি ও একটি শাটারগান উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি নিহতরা চরমপন্থি সর্বহারা দলের সক্রিয় সদস্য ছিল। নিহতরা হলো উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের আ. ছাত্তারের ছেলে শাহীন ওরফে হলকা শাহীন (৪৫) ও মাছিম ওরফে কালু (৩৫), পিতা অজ্ঞাত। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাদের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার সকালে সরজমিন গেলে নন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিটন মোল্লা বলেন, নিহতরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছিল। নিষ্কাশন ক্যানেল পাড়ের বাসিন্দা আবু সিদ্দিকের ছেলে মুনসুর, আমিন উদ্দিনের স্ত্রী শিলা, লুৎফর রহমানের স্ত্রী সাফিয়াসহ অনেকেই জানান, এরা অনেক দিন ধরে ছোন্দহ, দাড়ামুধা, চুলকাটাইসহ বিভিন্ন গ্রামে গৃহবধূদের স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়া, চাঁদাবাজি, অটোরিকশা ভ্যান চুরি করতো। সন্ত্রাসীরা নিহত হওয়ায় এলাকাবাসী আনন্দ উল্লাস করছে। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে ৪ জন চরমপন্থি সদস্য উপজেলার ছোন্দহ ক্যানেলপাড়া গ্রামের সিদ্দিকের বাড়ি থেকে ডাকাতি করে যাওয়ার সময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে ডাকাত দল ক্যানেলের পানিতে ঝাঁপ দেয়। কচুরিপানার মধ্য থেকে দুইজনকে ধরে গণপিটুনি দেয় জনতা।

 বাকি দু’জন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ১ রাউন্ড তাজা গুলি ও একটি শাটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি আরো জানান, তাদের বিরুদ্ধে সাঁথিয়াসহ বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই ও বিস্ফোরক আইনে কয়েকটি মামলা রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন  করেছেন।