× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দ্রুত এগিয়ে চলছে যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণ কাজ

বাংলারজমিন

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সীমান্ত নদী যাদুকাটার উপর নির্মাণাধীন সেতু অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে সেতুর ২৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর পূর্ব পাশে রয়েছে শাহ আরেফিন (র.) এর আস্তানাসহ বিশাল এলাকা। পশ্চিম পাশে রয়েছে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। সূত্রে জানা যায়, ৭ ইউনিয়ন নিয়ে ২৪৯টি গ্রামের সমন্বয়ে তাহিরপুর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলার আয়তন প্রায় ৩৬৬.৭০ বর্গ কি.মি। জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৮ জন।
উপজেলাটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। ঐতিহাসিকভাবেও এই উপজেলার সুনাম রয়েছে। যাদুকাটা নদীর এপাড়ে রয়েছে শ্রী শ্রী অদ্বৈতা মহাপ্রভু আশ্রম, আর ওপাড়ে রয়েছে পূণ্যতীর্থ ও মহান সাধক শাহ্‌ আরেফিন (র.) এর আস্তানা, ঐতিহাসিক লাউড় রাজ্যের রাজধানী হলহলিয়ার ধ্বংসাবশেষ, নীল জলরাশির শহীদ সিরাজ লেক, বারেকটিলা, শিমুল বাগান ও বিশ্ব ঐতিহ্য টাঙ্গুয়া হাওর। অপরদিকে এ উপজেলার সীমান্তে রয়েছে ৩টি কয়লা শুল্কস্টেশন। আর তিন শুল্কস্টেশন থেকে সরকার নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব। প্রতিদিন প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের আগমন লক্ষ্যণীয় এখানে। উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় যাতায়াতকারীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখানে বর্ষায় নৌকা আর হেমন্তে মোটরসাইকেল ছাড়া যোগাযোগ মাধ্যম নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে যাদুকাটা নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতু নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন হলে এ উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণ সরকারের একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই সেতু দ্রুত নির্মাণের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ লাঘব হবে। সুনামগঞ্জ জেলার সঙ্গে তাহিরপুর, মধ্যনগর, কমলাকান্দা ও নেত্রকোনা জেলার যোগাযোগ বাড়বে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, যাদুকাটা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ব্রিজের মোট ১৪টি পিলারের মধ্যে ৫টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণকৃত ৫টি পিলারের মধ্যে নদীর পূর্ব পাশে এপারমেন্ট ১টি, পশ্চিম পাশে এপারমেন্ট ১টি নদীর মধ্যে ৩টি পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। তাহিরপুর এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ই এপ্রিল ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ব্রিজটি নির্মাণ কাজ করছেন তমা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এই ব্রিজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. সাইদুল্লাহ মিয়া জানান, ইতিমধ্যে সেতুর ২৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কোনো প্রতিবন্ধকতা না হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেতুর কাজ  শেষ হবে। তিনি বলেন, এলজিইডি বিভাগ এই সেতু নির্মাণ কাজের সার্বক্ষণিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর