× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ’ শ’ বছর ধরে ক্যানসার ভারতে পশ্চিমায়নের ভূমিকা নেই

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার

ভারতে কয়েকশ’ বছর ধরেই ক্যানসারের অস্তিত্ব বিরাজমান। এর সঙ্গে পশ্চিমায়ন বা আধুনিকায়নের কোনো সম্পর্ক নেই। একটি নতুন গবেষণায় এই প্রমাণ মিলেছে। ‘হিস্টোরি অব দ্য গ্রোয়িং বার্ডেন অব ক্যানসার ইন ইন্ডিয়া: ফ্রম অ্যান্টিকুইটি টু দ্য টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ শীর্ষক ওই গবেষণা প্রবন্ধে ভারতে ক্যানসারের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। পরিশেষে গবেষকরা এই অনুসিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ভারতে ক্যানসারের অস্তিত্ব বহুদিন ধরেই। এটি কোনো নতুন বিষয় নয়। এ ছাড়া বিভিন্ন মিডিয়ায় যেমনটা বলা হয়, ক্যানসারের সঙ্গে পশ্চিমা সংস্কৃতি বিস্তারের কোনো সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত কিংস কলেজের রবার্ট ডি স্মিথ ও কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টারের মোহনদাস কে মল্লাথের লেখা ওই গবেষণা প্রবন্ধ জার্নাল অব গ্লোবাল অনকোলোজিতে প্রকাশিত হয়েছে।
এ খবর দিয়েছে দ্য ওয়্যার।
খবরে বলা হয়, স্মিথ ও মল্লাথের গবেষণায় দু’টি ধারণার ওপর নজর দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, মানুষসহ প্রাণি অর্গানিজমে ক্যানসার হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ঝুঁকি হলো বয়স। মল্লাথ পরে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, এই গবেষণা প্রবন্ধ লেখার একটি কারণ ছিল এই যে, রোগীরা প্রায়ই তাকে জিজ্ঞেস করেন, ভারতে কি ক্যানসার মহামারি আকার ধারণ করেছে কিনা। অনেক রোগী তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি বিড়ি খাই না, মদ খাই না, নিরামিষভোজী, তারপরও আমার কেন ক্যানসার হলো?’
ভারতে আগে খরা, দুর্ভিক্ষ, সংক্রমণের কারণে স্বল্প আয়ু ও অকাল মৃত্যু ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা। এখন এই সমস্যা কিছুটা উন্নতির দিকে হওয়ার পর মানুষের রোগের ক্ষেত্রে এক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এ কারণেই ক্যানসারসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ বেড়েছে।
এই গবেষণায় এই ধারণাও উড়িয়ে দেয়া হয়েছে যে, ক্যানসার নতুন একটি রোগ ও পশ্চিম থেকে আমদানি হয়েছে। গবেষকরা অতীত গবেষণা ও আর্কাইভ ঘেঁটে প্রমাণ করেছেন যে, ক্যানসারের মতো অসুস্থতা ভারত উপমহাদেশে প্রাচীনকাল থেকেই ছিল। ১৯ শতকের দিকে ক্যানসার প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। বিংশ শতাব্দির পর থেকে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। কারণ ততদিনে শনাক্ত করার পদ্ধতি অনেক উন্নত হয়ে ওঠে।
গবেষকরা বলেন, প্রাচীন পুস্তক অথর্ব বেদে কিছু রোগের লক্ষণের কথা বলা আছে যা অনেকটা পরিপক্ব ক্যানসারের লক্ষণের সঙ্গে মিলে যায়। ক্যানসারের মতো রোগ ও এর পথ্যের কথা বর্ণনা করা আছে আয়ুর্বেদ ও সিদ্ধার মতো প্রাচীন পুস্তকে। তবে ক্যানসার আধুনিক নিয়মে শনাক্ত করা শুরু হয় ১৯১০ সালের দিকে। এ ছাড়া ১৮৬৬ সালে ৩০ জন ক্যানসার রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ডব্লিউ জে এমসলি। সেখানে বলা হয়, এই রোগীদের ক্যানসার হওয়ার পেছনে গাঁজা খাওয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে।
২০১৮ সাল নাগাদ ভারতে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ২০৪০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৯০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ক্যানসার থেকে মৃত্যুর হার দ্বিগুণ হয়েছে। মূলত, চাহিদা মোতাবেক ক্যানসার সেবা সুলভ না হওয়াকেই এই রোগ এমন প্রাণঘাতী হয়ে উঠার অন্যতম প্রধান কারণ। এ ছাড়া সরকারি খরচে গরিবদের ক্যানসার চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে বেসরকারি চিকিৎসা ক্রমেই ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর