× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টানা ছুটিতে পর্যটকে ভরপুর কক্সবাজার

বাংলারজমিন

রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে
১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার

ঈদুল আজহা, ১৫ই আগস্ট ও সাপ্তাহিক টানা ছুটিতে এবার পর্যটকের ঢল নেমেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজারে। পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। বিশেষ করে প্রতিদিনই বিকাল থেকে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উপচেপড়া ঢল নামে। গত একসপ্তাহ ধরে হোটেলমোটেলে ঠাঁই নেই অবস্থা। ঈদের ছুটিতে লক্ষাধিক পর্যটক বেড়াতে আসায় বৃহস্পতিবার থেকে এমনই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে দল বেধে বা সপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে আসছে মানুষ। কিন্তু একই সঙ্গে লক্ষাধিক মানুষ কক্সবাজারে বেড়াতে আসায় রাস্তাঘাটে তৈরি হয়েছে যানবাহনের চাপ। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট।
এতে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। তবে পর্যটকদের আনাগোনায় শহরের বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকতসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে। ঈদের বন্ধে গত ৫ বছরে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক এসেছে বলে মনে করেন হোটেল মালিকরা। ইতিমধ্যে পর্যটকের চাপে কক্সবাজার শহরের চার শতাধিক আবাসিক হোটেলমোটেল গেস্ট হাউজ, কটেজ ও রেস্ট হাউজের প্রায় সব কক্ষ বুকিং রয়েছে। এই সুযোগে কিছু হোটেল মালিক তাদের কক্ষ ভাড়া বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনের (টোয়াক বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান মনে করেন, এবারের ঈদুল আজহার তিনদিনের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিন যুক্ত হওয়ায় ৫ দিনের টানা বন্ধে মানুষ মনভরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে প্রশাসন টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়নি। পর্যটকরা সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সুযোগ পেলে খুশি আরো দ্বিগুণ হতো। তবে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সুযোগ না থাকায় এবার ট্যুর অপারেটররা কক্সবাজার টু বান্দরবান, দরিয়ানগর-হিমছড়ি-ইনানী টেকনাফ ও রামু ভ্রমণের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। হাজার হাজার পর্যটক কক্সবাজার থেকে বান্দরবান ভ্রমণের প্যাকেজ কিনেছেন। এ কারণে এবারের ঈদের ছুটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারের পাশাপাশি বান্দরবানও ভ্রমণ করবেন বলে ধারণা করেন তিনি। তার মতে, দেশের মানুষের কাছে বেড়ানোর সবচেয়ে জনপ্রিয় ঠিকানা কক্সবাজার। কক্সবাজার হোটেলমোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান কোম্পানি বলেন, এবারের ঈদের তিনদিনের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিন যুক্ত হওয়ায় এবার ৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক এসেছে। কক্সবাজার সি-বিচ হোটেলমোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজার শহরের হোটেলগুলোতে লক্ষাধিক মানুষের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ইতিমধ্যে শহরের চার শতাধিক আবাসিক হোটেলুমোটেল ও গেস্ট হাউজে ঈদের পরদিন থেকে সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছে। তবে রোববার থেকে চাপ অনেকটা কমবে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারের ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ, রামু, মহেশখালী, সোনাদিয়া, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এবং পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি লেক ও লামার মিরিঞ্জা পর্বতমালা দেখতে পর্যটকরা ভিড় করছেন। তবে বনবিভাগের কলাতলী পিকনিক স্পটের ইজারাদার সায়েম মোহাম্মদ ডালিম বলেন, দরিয়ানগরে আগের বছরের তুলনায় পর্যটক কমেছে বলে মনে করেন। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটিতে শহরে পর্যটকদের চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরে অবৈধ গাড়ি আটকেও অভিযান চলছে। ফলে এ বছর শহরে ট্রাফিক জ্যাম অনেক কম হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফজলে রাব্বি বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে ঘুরতে পারে সে বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ শহর ও শহরের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া সমুদ্র সৈকতের কয়েকটি পয়েন্টে রয়েছে দিনরাত সার্বক্ষণিক প্রহরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর