× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৭ বছর পর পরিবারকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত খাদিজা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার

২০১২ সালে প্রতিবেশী এক ভাইয়ের মাধ্যমে ভারতে পাচার হয়েছিলেন খাদিজা খাতুন (১৯)। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর ভারতের মালদহে সরকারি এক সেফহোমে থাকতে হয়েছে তাকে। গত বছরের ১৯শে এপ্রিল কোনো এক মাধ্যমে চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে রাজশাহীর মানবাধিকার সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র শেল্টার হোমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই থেকে খাদিজা দীর্ঘ এক বছর ৪ মাস এসিডি’র শেল্টার হোমে লালন-পালন হচ্ছিলেন। গতকাল এসিডি’র মাধ্যমেই মা-বাবাকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে খাদিজা খাতুন।
এ সময় খাদিজা বলেন, ‘দীর্ঘ ৭ বছর পর মায়ের মায়াভরা মুখ দেখতে পেয়ে মনে হচ্ছে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছি! কোনো দিন ভাবতেও পারিনি বাবা-মাকে ফিরে পাবো! পরিবারকে ফিরে পেয়ে এতো খুশি হয়েছি যা কাউকেই বোঝাতে পারবো না। আমি এসিডি’র প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়ার ঋণ আমি কোনোদিন শোধ করতে পারবো না।’
খাদিজার বাবার নাম আবুল কাশেম ফকির আর মা আনোয়ারা বেগম।
এসিডির অফিসে এসে মা আনোয়ারা বেগম জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ। তবে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার গুলশান-২ এর নূরের চালা এলাকায় পরিবারকে নিয়ে বাস করছিলেন আনোয়ারা। এখনো সেখানেই বসবাস করছেন তারা। ২০১২ সালে খাদিজা যখন নিখোঁজ হয় তার আগে সে মাদ্রাসায় পড়ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি পাশের বাসার ধনাঢ্য এক ব্যক্তির সন্তানকে দেখাশোনার কাজ করছিল খাদিজা। একদিন ওই বাড়িতে গিয়ে সেখান থেকেই নিখোঁজ হয় খাদিজা। পরে জানতে পারেন, প্রতিবেশী এক লোকের মাধ্যমে আদরের ধন খাদিজা ভারতে পাচার হয়ে গেছে। তারপর থেকে আনোয়ারা মেয়েকে পাওয়ার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন।
আনোয়ারা বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ আগে এসিডির মাধ্যমে হঠাৎ মেয়ের খোঁজ পাই। তখন থেকেই মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছি। বুঝতে পারি এই সেই আমার খাদিজা। অবশেষে গুলশান থেকে মেয়েকে নিতে রাজশাহীর উদ্দেশে রওয়ানা হই। শনিবার সকালে এসিডি অফিসে মেয়েকে পেয়ে খুব ভালো লেগেছে। মেয়েকে পেয়ে মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি।’
এসিডির শেল্টার হোম ম্যানেজার পুষ্প রাণী বিশ্বাস বলেন, ‘২০১৮ সালের ১৯শে এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার মাধ্যমে আমাদের শেল্টারহোমে আসে খাদিজা। তারপর থেকে তিনি শেল্টার হোমেই লালন-পালন হচ্ছিলেন। এখানে আশার পর থেকেই খাদিজা পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। আমরা তার পরিবারের খোঁজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা পরিবারের খোঁজ পেয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার দুপুরে খাদিজাকে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করেছি।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর