অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতামূলক সংগঠন ওআইসি। টানা কারফিউতে সেখানকার জনজীবন অচল হয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে বলে ভিডিও বার্তায় ওআইসির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তিনি একে পাকিস্তানের জন্য আরেকটি কূটনৈতিক অর্জন বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের পত্রিকা ডন-এর অনলাইন সংস্করণ।
কয়েকদিন ধরে ওআইসির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন কুরেশি। এ ছাড়া তিনি জেদ্দায় ওআইসির সভায় অংশ নিয়েছেন। এসব ফোরামে তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনা করেছেন। তার ভাষ্যমতে, এর ফলে ওআইসি ওই বিবৃতি দিয়েছে। তিনি বলেছেন, দখলীকৃত কাশ্মীরের মানুষের খাদ্য ফুরিয়ে গেছে।
তারা কঠিন অবস্থায় দিন পার করছেন। তাদের ওষুধপত্র ফুরিয়ে গেছে। কারফিউ থাকার কারণে তারা হাসপাতালে যেতে সক্ষম হচ্ছেন না। এই কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি শুধু পাকিস্তান থেকেই আসছে এমন নয়। একই দাবি করা হচ্ছে সারা মুসলিম জাহান থেকে। তিনি আশা করেন, ওআইসি যে কথা বলেছে সেদিকে মনোযোগ দেবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
ডন লিখেছে, জম্মু কাশ্মীরে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে। এমনকি পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে অবরুদ্ধ অবস্থায়। জমায়েত হতে দেয়া হয়নি মানুষকে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব রিপোর্টের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওআইসির জেনারেল সেক্রেটারিয়েট। ধর্মীয় অধিকার প্রত্যাখ্যান করাকে আন্তর্জাতিক অধিকার বিষয়ক আইনের ভয়াবহ লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের বিরোধিতাও এটা। তাই ওআইসি কাশ্মীরি মুসলিমদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে আহ্বান জানিয়েছে ভারত কর্তৃপক্ষের প্রতি। একই সঙ্গে কোনো ভয়ভীতিহীনভাবে তাদের ধর্মীয় অধিকার চর্চা করতে দেয়ার অনুরোধ করেছে।
জাতিসংঘসহ অন্যন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জম্মু কাশ্মীর বিরোধকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন অনুযায়ী সমাধানে মধ্যস্থতা করার কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ওআইসি। ওদিকে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে টেলিফোন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ সময়ে তারা কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরই মধ্যে ১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালোদিবস হিসেবে পালন করেছে পাকিস্তান। প্রতিবাদ র্যালি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ভারতের আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে আজাদ জম্মু কাশ্মীর। ওদিকে এ ইস্যুতে বিশ্বের অন্য নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন ইমরান খান। এর আগে তিনি টুইটে কাশ্মীর ইস্যুতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।