× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এত কমে ডমিঙ্গো!

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ আগস্ট ২০১৯, সোমবার

২ বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ নির্বাচিত হয়েছেন রাসেল ডমিঙ্গো। দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচকে অনেকটা সস্তায় পেয়েছে বিসিবি। হাই প্রোফাইল কোচরা যে পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন, ডমিঙ্গোকে তার চেয়ে অনেক কমে লুফে নিয়েছে বিসিবি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ট্যাক্স বা আয়কর বাদে ডমিঙ্গো মাসে পাবেন ১৫ হাজার ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আয়করসহ প্রোটিয়া কোচের বেতন দাঁড়াবে ১৮ হাজার ডলারের মতো। ডমিঙ্গোর পূর্বসূরি স্টিভ রোডসের মাসিক বেতন ছিল ২২ হাজার ডলার বা সাড়ে ১৮ লাখ টাকা। রোডসের আগে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মাসে পেতেন ২৫ হাজার ৮০০ ডলার বা ২১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
বছরে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া কোচ হাথুরু।
ডমিঙ্গোর জন্য আরো বেশি খরচ করতেও নাকি আপত্তি ছিল না বিসিবির। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ বিসিবির কাছে নিজেই চেয়েছেন ১৮ হাজার ডলার। নিজ দেশের কোচ থাকাকালে তার মাসিক বেতন ছিল ১২ হাজার ডলার। সেই কারণেই হয়তো বিসিবির কাছে খুব একটা বাড়িয়ে বলেননি ডমিঙ্গো। তবে বাংলাদেশের কোচ হওয়ার ইচ্ছা পোষণকারী অন্যান্য হাই প্রোফাইল কোচদের চাওয়া ছিল অনেক বেশি। নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসন বিসিবির কাছে মাসে ৪০ হাজার ডলারেরও বেশি পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন। রংপুর রাইডার্সের বর্তমান ও শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল ও ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সাবেক কোচ টম মুডি চেয়েছিলেন ৫০ হাজার ডলার। আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও খুলনা টাইটান্সের কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে ৫৫ হাজার ডলার চেয়ে বসেন! তিন জনেরই ছিল নানা শর্ত। যেমন- পুরো বছর জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না। ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে তাদের কোচিংয়ের সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু বিসিবি প্রথম থেকেই বলে আসছিলো তাদের এমন কোচ দরকার, যিনি সব সময় দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন। আর ডমিঙ্গো সেই আশ্বাস দিয়েছেন বিসিবিকে। সব মিলিয়ে ১৮ হাজার ডলারে তাকে পেয়ে লাভবানই হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আর ডমিঙ্গোও এখানে কাজ করে আনন্দ পাবেন। নিজের অনুকূল কোচিং স্টাফ পাচ্ছেন তিনি। কারণ তাকে ছাড়াও আরো তিনজন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রয়েছেন এখানে। ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে নিল ম্যাকেঞ্জি, পেস বোলিং কোচ হিসেবে সদ্য নিয়োগ পেয়েছেন চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্ট। আর আগের কোছিং স্টাফে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে থাকা রায়ান কুককে বহাল রেখেছে বিসিবি। এদের মধ্যে ল্যাঙ্গাভেল্টের সঙ্গে ইতিপূর্বে চার বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে ডমিঙ্গোর।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর