× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নেত্রকোনায় বিভিন্ন সড়কে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায়

দেশ বিদেশ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৯, সোমবার

ঈদকে পুঁজি করে জেলার বিভিন্ন সড়কে যানবাহনে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে করে যাত্রীদের হয়রানির শিকার ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে পরিবহন শ্রমিকরা। জানা গেছে, জেলা সদরের আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা-নেত্রকোনা সড়কে শাহজালাল এক্সপ্রেস, নেত্র পরিবহন, ইকরাম, গ্রিন লাইনসহ বেশ কিছু কোম্পানির গাড়ি চলাচল করে। এ ছাড়া জেলার কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জ, সিধলী, নাজিরপুর, দুর্গাপুর, মদন থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ওই সমস্ত কোম্পানির গাড়ি চলাচল করছে। ঈদ উপলক্ষে আসা যাওয়ার পথে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। নেত্রকোনা থেকে ঢাকা ২৫০ টাকার স্থলে ৩০০ টাকা। তবে কলমাকান্দার সিধলী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৩০০ টাকার স্থলে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
জেলার মদনে চট্টগ্রামগামী বাসে ৫০০ টাকার স্থলে আদায় করা হচ্ছে ১০০০ টাকা। এ নিয়ে যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে পরিবহন শ্রমিকদের হাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বেশি ভাড়া আদায় চলবে বলে জানান একাধিক পরিবহন শ্রমিক। জানা গেছে, ঈদের আগে থেকে পরিবহন সেক্টরের অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। নেত্রকোনা-ঢাকা ভায়া ময়মনসিংহ সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীদের চরম ভোগান্তির কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছেন। এমনকি মাঝ পথে চলন্ত বাস থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে জোর করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ঊঠেছে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। ঈদের তিন- চারদিন আগে থেকেই পরিবহন সেক্টরের সমস্ত প্রটোকল ভেঙে ও প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে পরিবহন শ্রমিকরা যাত্রীদের জিম্মি করে গলাকাটা ভাড়া আদায় করায় যাত্রীসহ সর্ব সাধারণের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে গত ২রা আগস্ট থেকে নেত্রকোনা-ঢাকা, ময়মনসিংহ সড়ক পথে এই নৈরাজ্য শুরু হয়। গতকাল সকালে জেলা শহরের পারলা আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় ঢাকাগামী যাত্রীরা শাহজালাল এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন। কিন্তু টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার রাতেই চার গাড়ির সিরিয়াল শেষ হয়ে গেছে। সকাল ৬টার সিরিয়ালে গাড়ি স্ট্যান্ডে আসে ৭টার পর। স্ট্যান্ডে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই হুড়োহুড়ি করে যাত্রীরা উঠে পড়েন। পরে বাসের দুই সারি সিটের মাঝখানে টোল ও প্লাস্টিকের চৌকি দিয়ে ২০০ থেকে ২৫০/- টাকা করে যাত্রী বসানো হয়। জেলার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়কেও একই অবস্থা।
ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে ময়মনসিংহগামী বাসে গেটলক নামের বাসগুলোতে ৫৫ টাকার স্থলে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। কাছেই সিএনজি স্ট্যান্ডে নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহ ৭০ টাকার ভাড়া ঈদের আগে থেকে নানা অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ৩০০-৪০০ টাকা আদায় করা হয় বলে ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ। অথচ কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে বলে সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর ঘোষণা। ঈদের সাতদিন পেরিয়ে গেলেও ঈদ ফেরত যাত্রীদের নিকট থেকে একই কায়দায় ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, সিএনজি’র এই বাড়তি ভাড়া থেকে মালিক পক্ষ, পুলিশ ও চালকরা ভাগবাটোয়ারা করে নেন। ঈদ পূর্ব জেলা আইনশৃঙ্খলা প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক মালিক পক্ষকে নিয়ে বাস ভাড়া সহনীয় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু প্রশাসনের সমস্ত উদ্যোগ বিফলে যায়। নেত্রকোনা জেলা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আদব আলী জানান, ঈদ উপলেক্ষে নেত্রকোনা থেকে গেটলকের ভাড়া ২৫০ টাকার স্থলে ৩০০ টাকা নেয়া হচ্ছে সত্য। কিন্তু ঢাকা থেকে কি হারে ভাড়া আদায় করা করা হচ্ছে তা তার জানা নেই। নেত্রকোনা বাস পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি তার জানা নেই। ঈদ উপলক্ষে জেলার বাইরে থেকে অনেক বাস এসেছে। যাত্রীরা তাদের ইচ্ছেমতো ওই সমস্ত বাসে যাতায়াত করছেন। বেশি ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কেঊ কোনো অভিযোগ করেনি।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর