× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সেই নারীর জামিন নামঞ্জুর

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৯ আগস্ট ২০১৯, সোমবার

খুলনায় জিআরপি থানায় গণধর্ষণের শিকার অভিযোগকারী সেই গৃহবধূর মাদক মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। গতকাল দুপুরে খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ তার জামিন আবেদনের শুনানি হয়। আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নয়ন বিশ্বাস শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। গৃহবধূকে আইনি সহায়তাদানকারী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা- মানবাধিকার-এর সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কোর্ট পুলিশ ইমরুল হাসান। উল্লেখ্য, ২রা আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে ফুলতলা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃবধূকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে আটক করেন। রাতে তাকে খুলনা জিআরপি থানা হাজতে রাখা হয়। পরদিন ৩রা আগস্ট তার কাছ থেকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিল জব্দ দেখিয়ে তার নামে একটি মামলা দিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
৪ঠা আগস্ট আদালতে জামিন শুনানির জন্য হাজির করা হয়। এ সময় জিআরপি থানায় রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন ভিকটিম। তিনি বলেন, ‘ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আদালতের নির্দেশে ৫ই আগস্ট খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ এবং সদস্যরা হলেন- কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ.ম. কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম। এ কমিটি ৬ই আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে। ৭ই আগস্ট ওসি উছমান গনি পাঠান ও এসআই নাজমুলকে ক্লোজড করে পাকশী নেয়া হয়। ৮ই আগস্ট পাকশী ও ঢাকা থেকে গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত টিমের সদস্যরা আদালতের অনুমতি নিয়ে জেলগেটে ভিকটিমের জবানবন্দি নেন। এরপর আদালতের নির্দেশে ৯ই আগস্ট পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে ফিরোজ আহমেদকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তিনি তদন্তের শুরুতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ই আগস্ট আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হবে।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর