× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দিল্লির বিদেশমন্ত্রী আসছেন আজ / টার্গেট রাজনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ়করণ

শেষের পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৯ আগস্ট ২০১৯, সোমবার

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আজই প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। গুড উইল বা শুভেচ্ছা সফর হলেও তাৎপর্যপূর্ণ ওই সফরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া আগামী অক্টোবরের শুরুতে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য নয়াদিল্লি সফর নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। ৩ দিনের সফরে সোমবার রাতে বাংলাদেশ বিমানের কমার্শিয়াল ফ্লাইটে ড. জয়শঙ্কর ঢাকা পৌঁছাচ্ছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন। রাতে তার সফরের আনুষ্ঠানিক কোন কর্মসূচি নেই। আগামীকাল দিনের প্রথমার্থে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জয়শঙ্করের নেতৃত্বাধীন দিল্লির প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি শুরু হয়ে চলবে মধ্যাহ্নভোজ অবধি।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাবেন জয়শঙ্কর। তার আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেন এবং বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম পরিদর্শনের কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র মতে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের প্রথম সাক্ষাৎ-বৈঠক হয় গত জুনে তাজিকিস্তানে।

ওই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঢাকা-দিল্লি বিদ্যমান সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ সফর করছেন জয়শঙ্কর। তার সফরে অবৈধ অভিবাসন ও অনুপ্রবেশ, কানেক্টিভিটি, রোহিঙ্গা সংকট এবং দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত তিস্তাসহ যৌথ নদীগুলোর পানির বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য তথা রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদারই তার সফরের মূল উদ্দেশ্য। তবে অতি সম্প্রতি সৃষ্ট কাশ্মির সঙ্কট, ত্রিপুরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণে বাংলাদেশের কাছে জমি চাওয়া এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থার উত্থান চেষ্টা ঠেকানোর বিষয়ে দুই বন্ধু রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এজেন্ডা চূড়ান্তকরণের কোন আগাম কথাবার্তা হয়নি বলে দাবি সেগুনবাগিচার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর