× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডেঙ্গুর ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ তবুও...

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ আগস্ট ২০১৯, সোমবার

সিবিসি টেস্টের রিপোর্ট আনতে গেছেন জিতুর বাবা। মায়ের শরীর ঘেঁষে বাড়তি তাপ নেয়ার চেষ্টা করছে ছোট্ট জিতু। গত তিন দিনের জ্বরে কাবু সে। শরীর শুকিয়ে হাড্ডিসার অবস্থা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনে ভর্তি হওয়া এই 
শিশুটিকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী তার বয়স ১১ বছর। রাজধানীর শান্তিনগরে একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ে। স্কুল পাগল জিতু পারতপক্ষে স্কুল কামাই দেয় না।
তিন ভাই বোনের মধ্যে সে ছোট। বাবা একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বড় দুই ভাইবোনকে নিয়ে মা হোসনে আরা বেগমের তেমন ভাবতে হয় না। কিন্তু ছোট্ট জিতু যেন তার প্রাণ। মেয়েকে
ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচাতে স্কুল থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু ডেঙ্গুর ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। পিছু ছাড়েনি ডেঙ্গু।
জিতুর মা হোসনে আরা বলেন, মেয়েকে আমার ২৪ ঘণ্টার ১৬ ঘণ্টাই মশারির নিচে রেখেছি। স্কুলে গেলে মশা কামড়াবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হবে। এই ভয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় নজরে নজরে রেখেছি। বাসায় সারাক্ষণ মশারি টাঙ্গিয়ে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতাম। মশারির ভেতরে ঢুকে কামড়াবে তাই মশা মারার ব্যট ব্যবহার করতাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাই হলো। হাসপাতালের যেই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ তাতে সে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার ওপর ওয়ার্ডে সিট পেতে কি না করেছি। এখন সে চোখ মেলে তাকায় না। জোর করে কিছু মুখে দিলে বমি করে ফেলে দেয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছে তার শরীর খুব দুর্বল। তাই রক্তের প্লাটিলেট অনেক বেশি ওঠানামা করছে। দিনে কয়েকবার সিবিসি পরীক্ষা করাতে হয়। রক্ত পরীক্ষা করাতে যে পরিমান রক্ত গেছে তাতেও মেয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে পরেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর