× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে মাছ শিকারের অভিযোগ

দেশ বিদেশ

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৯, সোমবার

 নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মৎস্য প্রজনন জোনের অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে জেলেরা চরপাটা (চরঘেরা), ভাসনা, খরচি, নেট সাবার ও খুটা জাল পেতে মৎস্য প্রজনন এলাকার ছোট বড় মাছ শিকার করছে। গোটা রেঞ্জের নদী ও ছোট-বড় খালে দু’মাস মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা (অবরোধ) থাকলেও সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা তা মানছে না। বনবিভাগের কতিপয় অসাধু বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ম্যানেজ করে শরণখোলা ও পাথরঘাটা উপজেলার চিহ্নিত কিছু মাছ ব্যবসায়ী এ অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। জানা যায়, শরণখোলা রেঞ্জের অধিকাংশ এলাকা বনবিভাগ মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে। এতে জীবন-জীবিকার জন্য জেলেরা যেমন বিপাকে পড়েছেন তেমনি অসাধু বনকর্মীদের অবৈধ আয়ের উৎস বন্ধ হয়েছে। এ কারণে বনবিভাগের কতিপয় অসৎ বনকর্মী ও মৎস্য ব্যবসায়ী এসব অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলে জানান, মৎস্য অভয়াশ্রম খ্যাত কটকা ও তার অফিস আওতাধীন ছোট-বড় খাল, কচিখালী ও তার আশেপাশের খাল, শেলা, কোকিলমনি, টিয়ারচর, ছাপড়াখালীসহ অন্যান্য এলাকায় ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরণ করছে শরণখোলা উপজেলার চালিতাবুনিয়ার চান মিয়া ওরফে চান্দু এবং গাবতলার, তাফালবাড়ি ও রাজাপুর এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত মৎস্য ব্যবসায়ী এবং পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা স্লুইসের হালিম খাঁসহ অন্যরা।
এ ছাড়া, চরদোয়ানী এলাকার কিছু ব্যবসায়ী এসব কাজে লিপ্ত রয়েছে। চান্দেশ্বর টহলফাঁড়ি অফিসের আওতাধীন অভয়াশ্রম ও সুপতি এলাকায় মাছ আহরণ করে থাকে চরদোয়ানী এলাকার মাফুল মেম্বর। সিজন চুক্তিতে জাল প্রতি সংশ্লিষ্ট স্টেশন ও টহলফাঁড়িতে ব্যসায়ীদের দিতে হয় ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া, প্রতি গোনে জাল প্রতি ৫ হাজার টাকা, ৫টি ইলিশ ও অন্যান্য মাছ। কচিখালী অফিস সংলগ্ন খাল, কটকা, বন্ধুর খালসহ বিভিন্ন খাল ও শেলা এলাকায় ২৫ থেকে ৩০টি খুটা জাল পাতা হয়। এদেরকেও একই রেটে টাকা পরিশোধ করতে হয়। এ বিষয়ে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন শরণখোলা রেঞ্জ এলাকার অভয়াশ্রমে মাছ শিকারের কথা অস্বীকার করেন। ডিএফও (পূর্ব বিভাগ) মাহামুদুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনের অভয়াশ্রমে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। যদি কেউ ধরে তাহলে তদন্ত করে যারা যারা জড়িত তাদের সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর