জেলার নাসিরনগরে সাবিকুন্নাহার (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে নাসিরনগর থানা পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার সময় নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল ইউনিয়ন হতে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাবিকুন্নাহার ধরমণ্ডল ইউনিয়নের ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী। তবে এ ঘটনার পর হতে নিহতের স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। নিহতের ভাই মো. নূর আলম জানান, উপজেলার ধরমণ্ডল গ্রামের ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে নাসিরনগর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের নবী হোসেনের মেয়ে সাবিকুন্নাহারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই দিন রাত ১১টার সময় নিহতের বোন জামাই লিটন মোল্লাকে ফোন করে বলে তার শালিকা বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন রাত ৩টার সময় গিয়ে দেখে সাবিকুন্নাহারের লাশ একটি ঘরে পড়ে আছে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নাসিরনগর থানায় নিয়ে আসে।
সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে। এদিকে নিহতের বোন জামাই লিটন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমার শালিকাকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশসহ আমরা ঘরের তালা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. হাদিস উদ্দিন বলেন, রোববার রাত ৩টার সময় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় মামলা করেনি।