বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১০ হাজার গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা না পেয়ে জেলার আরো হাজার হাজার গরু বসন্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও তালা উপজেলায়। হাজার হাজার গরু বসন্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কোনো খোঁজখবর রাখেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, জেলার বিভিন্ন গ্রামে শত শত গরু বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গ্রামে গ্রামে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে শত শত গরু। সদর উপজেলার তুজলপুর, পাথরঘাটা, গোবিন্দকাঠি, বলাডাঙ্গা, আলিপুর, রামেরডাঙ্গা, চুপড়িয়া, সাতানি, শিবপুর, আখড়াখোলা, মুচড়া, কাঁঠালতলা, আমতলা, পাথরঘাাটাসহ বিভিন্ন গ্রামে গরুর বসন্ত রোগ দেখা দিয়েছে। তালা উপজেলার কাপাসডাঙ্গা, নিমতলা, নগরঘাটা, বাবুলডাঙ্গা, এগারআনি কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রায় ১০ হাজার গরু আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলার তুজলপুর গ্রামের কবির হোসেন, নূর হোসেন, বলাডাঙ্গা গ্রামের লিটন, আলিপুর গ্রামের সোহাগ জানান, প্রথমে গরুর গায়ে ফসকা ফসকা দেখা দিচেছ। ওই স্থান থেকে চামড়া উঠে যাচেছ। দেখা দিচেছ ঘা। একপর্যায়ে গরুর সারা শরীরে বড় বড় ঘা দেখা দিচ্ছে। আস্তে আস্তে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। গরুর গায়ে প্রচণ্ড তাপ থাকছে। গা ফুলে উঠছে। আক্রান্ত গরু কম খাচ্ছে। গ্রামের প্রাণি চিকিৎসকরা বলছেন গরু এ বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। দিনের পর দিন চিকিৎসা দেওয়ার পরও গরু সুস্থ হচ্ছে না। গ্রামের ঘরে ঘরে এ রোগে গরু আক্রান্ত হয়েছে। তালা উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় প্রায় ১ লাখ গরু রয়েছে। এরমধ্যে ৫ ভাগ গরু প্রায় ৫ হাজার গরু বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে উপজেলা ৬০০-৭০০ গরু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ০১৭১২৪৬২৯৩৬ মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। আপনার কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পারলাম। খোঁজখবর নিয়ে জরুরিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।