জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও তিনি কাশ্মীর প্রশ্নে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছেন। সোমবার ‘আন্তর্জাতিক মানবিকতা দিবস’ উপলক্ষে টুইট করে বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের অধিকার পুরোপুরি ভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। টুইটের প্রথম অংশে তিনি লিখেছেন, আজ আন্তর্জাতিক মানবিকতা দিবস। কাশ্মীরের মানুষের অধিকার পুরোপুরি ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা সবাই কাশ্মীরের মানবাধিকার ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করি। মানবাধিকারের প্রশ্নে তিনি কোনো দিন আপস করেননি, জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটের দ্বিতীয় অংশে লিখেছেন, মানবাধিকার রক্ষা আমার হৃদয়ের অত্যন্ত কাছের বিষয়। ১৯৯৫ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং লক-আপে মৃত্যুর প্রতিবাদে আমি ২১ দিন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছি।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিলোপ ঘটিয়ে সে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেয়ার বিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, যে পদ্ধতিতে সেটি করা হয়েছে তা ঠিক হয়নি। তার দল তৃণমূল সংসদের দুই কক্ষেই সরব হয়েছিল। বিলের উপরে ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়ে রাজ্যসভা এবং লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিদের আটকে রাখার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন। এদিন অবশ্য মমতার টুইটের তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। দলের রাজ্যসভা সংসদ সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কী বলতে চাইছেন, সেটা একটু স্পষ্ট করে বললে ভালো হয়। উনি কি কাশ্মীরকে পুরোপুরি ভারতের অঙ্গ হিসেবে দেখতে চান না? যদি না চান, তা হলে স্পষ্ট করে বলে দিন। সবারই বুঝতে সুবিধা হবে যে, তিনি ঠিক কী চাইছেন। বিজিপি সংসদ সদস্য আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে যেসব কথা বলছেন, তা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্যের সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হোক, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হোক, বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক হোক বা এখন জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান মিলে যাচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে।