× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আড়াল থেকে হুমকি, নানা ভয় কালামের

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২০ আগস্ট ২০১৯, মঙ্গলবার

অপপ্রচারে জাকিরকে দুষলেন সিলেটের আলোচিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম। জানালেন- পর্দার অন্তরালে থেকে তাকে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। ফেসবুকে তার পরিবার-পরিজনকে ইঙ্গিত করে নানা বাজে মন্তব্য। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কুছাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তিনি। পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক সমিতির শীর্ষ নেতাও। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকিরুল আলম জাকিরের সঙ্গে লড়াই করে বিএনপি নেতা কালাম চেয়ারম্যান হন। প্রায় একবছর আগে তিনি বিএনপি’র সঙ্গ ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর থেকে কালাম ও জাকির একই ঘরানার হয়ে গেলেন।
গতকাল সিলেটে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে জাকিরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন আবুল কালাম। র‌্যাব পরিচয়ে হুমকি- পর্দার অন্তরালে থেকে ফেসবুকে গালিগালাজকারীদের সতর্ক করলেন তিনি। জানালেন- তার বিরুদ্ধে গুজব, কল্পকাহিনী তৈরি করে ফেসবুকে পরিবার-পরিজন তুলে 
অশ্রাব্য গালিগালাজ করা হচ্ছে। গত ৫ই আগস্ট সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক চলছিল। এমন সময় সকাল ১১ টা ৫৭ মিনিটে ০১৩১৮-৬৭৭১৩০ নম্বর থেকে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করে অপর প্রান্ত থেকে মাসুদ নামের জনৈক লোক ঢাকা থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ঢাকা স্পেশাল ফোর্সের অফিসার পরিচয় দেন। ওই নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, ‘আমার ইউনিয়নের জাকির নামের একজনকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করেছেন। তার সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। তিনি তখন কথা বলেন এবং অফিসার পরিচয়দানকারীকে বলেন, জাকির ভালো ছেলে, কিন্তু তার সঙ্গে কথা বলানোটা ঠিক হয়নি, আইনের কাজ, আইনের গতিতে করতে বলেন। পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব, কল্প কাহিনী তৈরি করে পরিবার-পরিজনসহ তাকে নিয়ে নোংরা অশ্রাব্য গালিগালাজ করা হচ্ছে, অভিযোগ চেয়ারম্যানের। একইভাবে ওই ঘটনা সংগঠিত হওয়ার প্রায় ১৫ দিন আগে আরো দু’টি নম্বর থেকে ফোন করে র‌্যাব-৯ এর পরিচয় দিয়ে বলা হয়, জনৈক ইব্রাহিম খলিল তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, ইউনিয়নে চোর-ডাকাত, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের নাকি প্রশ্রয় দিচ্ছি। প্রতিউত্তরে ইব্রাহিমের কাছ থেকে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের নাম বলতে বলেছিলেন তিনি। চেয়ারম্যান আবুল কালামের মতে, কতিপয় লোক একসঙ্গে জড়ো হয়ে এক টেবিলে বসে ফোনে এমন হুমকি দিচ্ছেন তাকে। তিনি বলেন, কুচাই ইউনিয়নের উন্নয়নে তিনি দিন-রাত কষ্ট করছেন। অথচ পর্দার অন্তরালে থাকা নিজ এলাকারই কতিপয় ভাই-ভাতিজারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন। যে কারণে এমন অপরাধ-অপকর্ম থেকে তাদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জাকির হঠাৎ করে বিরুদ্ধাচরণ করার বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, গত নির্বাচনে জাকির তার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। সেই ক্ষোভ থেকে তার বিরুদ্ধাচরণ করা হচ্ছে। অথচ ওই জাকির পরবর্তীতে বলেছিল ভাই আপনি আমার অনেক বড় উপকার করেছে। আবার তাকে মেরে ফেলার জন্য নাকি আমি চক্রান্ত করেছিলাম, এমন ভুয়া তথ্যে অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্রাব্য গালিগালাজ চলছে। এরপরও কুচাই ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজ সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে যান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সদস্য আব্দুল বাছিত, আলতাফুর রহমান, সমরেশ দেবনাথ, রাজু আহমদ, আহমদ আলী, মো. মইন উদ্দিন, কামাল আহমদ কাবুল, শাহজাহান রহিম, সবুজ কুমার বিশ্বাস, রাজিয়া বেগম, লিলি বেগম, রিহাদ আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আহমদ ফলিক ও কোষাধ্যক্ষ সামছুল হক মানিক প্রমুখ। চেয়ারম্যান আবুল কালামের বক্তব্যের সত্যতা জানতে যুবলীগ নেতা জাকিরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে- তার ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন- চেয়ারম্যান কালামের সঙ্গে জাকিরের ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। এরপরও কালাম প্রতিপক্ষ মনে করে জাকিরকে নিবৃত্ত করতে নানা কৌশল করছেন। নিজ থেকে তিনি বিরোধের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেন তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর