× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনার জিআরপি থানায় গণধর্ষণ মামলা, ১০ দিনেও গ্রেপ্তার নেই

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২০ আগস্ট ২০১৯, মঙ্গলবার

খুলনা জিআরপি থানায় গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, তদন্ত কার্যক্রম চলছে। ওসি উছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুলকে ক্লোজড করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ভিকটিমের বোন হোসনে আরা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে মামলা হলেও আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার হচ্ছে না। আসামিরা সবাই পুলিশ। তাদের তো পালিয়ে থাকার কোনো কথা নয়। কিন্তু তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
আর পুলিশের ফাঁসানো মামলায় আমার বোন এখনো কারাগারে। তার জামিন পর্যন্ত হচ্ছে না। আর অপরাধ করেও পুলিশ সদস্যরা বাইরের হাওয়া খাচ্ছেন।’ তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলায় সন্তোষজনক ফলাফল দেয়া সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ওসি উছমান গণি ও এসআই নাজমুলকে ক্লোজড করে পাকশীতে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এ মামলার আসামি ৫ পুলিশের কাউকেই এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। ধর্ষণের অভিযোগ করা ওই গৃহবধূকে আইনি সহায়তাদানকারী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর তদন্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তার করারও বিধান রয়েছে। কিন্তু মামলা নথিভুক্তির পর ১০ দিন পার হয়েছে, এখনো আসামিদের গ্রেপ্তার না করা দুঃখজনক।
প্রসঙ্গত, ২রা আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে ফুলতলা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃহধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আটক করে। পরে রাতে তাকে খুলনা জিআরপি থানা হাজতে রাখা হয়। ৩রা আগস্ট তার কাছ থেকে ৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তার নামে একটি মামলা দিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৪ঠা আগস্ট আদালতে জামিন শুনানির জন্য হাজির করা হলে ওই নারী জিআরপি থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর আদালতের নির্দেশে ৫ই আগস্ট খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। এ ছাড়া ৮ই আগস্ট পাকশী ও ঢাকা থেকে গঠিত পৃথক দু’টি তদন্ত টিমের সদস্যরা আদালতের অনুমতি নিয়ে জেল গেটে ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আদালতের নির্দেশে ৯ই আগস্ট ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় মামলা করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর