× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইতিহাসের প্রথম বদলি খেলোয়াড়ের বাজিমাত

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ আগস্ট ২০১৯, মঙ্গলবার

ফুটবলে বদলি খেলোয়াড় অতি স্বাভাবিক ঘটনা। ক্রিকেটে বদলি হিসেবে এতদিন খেলতে পারতেন কেবল ফিল্ডাররা। তবে অ্যাশেজ সিরিজের লর্ডস টেস্টের পঞ্চম দিনে স্টিভ স্মিথের বদলি নেমে ব্যাটিং করে ইতিহাস গড়েছেন মার্নাস লাবুশান। গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসির সভায় বদলি খেলোয়াড় খেলানোর নিয়ম চালু হয়, যার মাধ্যমে চোটাক্রান্ত ক্রিকেটারের বদলে একাদশের বাইরে থাকা কোনো ক্রিকেটার ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন। শুধু ফিল্ডিংই নয়, ব্যাটিং বা বোলিংও করতে পারবেন বদলি খেলোয়াড়। সে নিয়মানুযায়ী ইতিহাসের প্রথম বদলি ব্যাটসম্যান হলেন লাবুশান। আর বদলি খেলতে নেমে বাজিমাত করেছেন তিনি। রোববার চতুর্থ ইনিংসে তার ৫৯ রানের ইনিংসটিই লর্ডসে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচায়।
ম্যাচের পর লাবুশানের প্রশংসা করে অজি অধিনায়ক টিম পেইন বলেন, ‘মাঠে নামার পর দ্বিতীয় বলেই তার হেলমেটে আর্চারের ৯১.৬ মাইল বেগের বাউন্সার আঘাত হেনেছিল। কিন্তু এরপর সে তার চরিত্র, স্কিল ও টেকনিক দেখালো।’ তবে অপরাজিত সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।
জফরা আর্চারের দেড়শ কিলোমিটার গতির এক বাউন্সারেই মাথার পেছনে আঘাত পান স্মিথ। কনকাশন (মস্তিষ্কের এক ধরনের ট্রমা) হয় তার। কনকাশন হলে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই রোববার পঞ্চম দিন মাঠে নামা হয়নি স্মিথের। বদলি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন লাবুশান। স্মিথের পজিশনে (৪ নম্বর) নেমে স্মিথের মতোই ব্যাটিং করলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বেন স্টোকসের অপরাজিত শতকে (১১৫*) ৫ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে ইংল্যান্ড ইনিংস ঘোষণা করলে জয়ের জন্য ৪৮ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬৭ রান। এত কম ওভারে ওই রান তাড়া করার ঝুঁকি নিতে চায়নি তারা। কিন্তু জফরা আর্চার-স্টুয়ার্ট ব্রডদের বোলিংয়ের সামনে অজি ব্যাটসম্যানদের টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়ে। ১৪ ওভারের ভেতর ক্যামেরন ব্যানক্রফট, ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজাকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে ট্রাভিস হেডকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন লাবুশান। ৩৬ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়াকে বাঁচান তারা। ১০০ বলে ৫৯ রান করে আউট হন লাবুশান। হেড অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। অস্ট্রেলিয়া ৪৭.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান করলে ম্যাচটি ড্র হয়ে হয়।
লর্ডস টেস্ট ড্র হওয়ার পেছনে বৃষ্টিরও বড় অবদান রয়েছে। প্রথম দিন পুরোটাই ভেসে যায় বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় দিন টস হেরে ব্যাটিং নেমে ২৫৮ রানে থামে ইংল্যান্ড। ফিফটি করেন ররি বার্নস ও জনি বেয়ারস্টো। তৃতীয় দিনেও বৃষ্টির বাগড়া দেয়। ব্যাটিং বিপর্যয়ের পড়া অস্ট্রেলিয়াকে বাঁচান স্মিথ। ৯২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ২৫০ রানে। ৫ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথমটিতে বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ তারা অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছিল ২০০১ সালে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ২৫৮ ও ২৫৮/৫ ডিক্লে.
অস্ট্রেলিয়া: ২৫০ ও ১৫৪/৫
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যাচসেরা: বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর