ময়মনসিংহ নগরীর ব্রাহ্মপল্লী এলাকায় পদ্মা জেনারেল (প্রা.) হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক গারো তরুণীকে নার্সের চাকরি দেয়ার কথা বলে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই নির্যাতিত তরুণী বাদী হয়ে পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার আলম মিয়া ও ক্লিনিক মালিক মজিবুর রহমান বাবুলের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, নার্স পদে চাকরির বিষয়ে আগে থেকে কথা বলে গত রোববার বিকালে পদ্মা প্রাইভেট হাসপাতালে আসে ধর্ষণচেষ্টার শিকার ওই তরুণীসহ আরো ৫ জন গারো তরুণী। পরে ম্যানেজার আলম মিয়া একজনকে ক্লিনিকের ও’টি রুমের পাশে নির্জন রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় বাকি চার তরুণী তাৎক্ষণিক প্রতিবাদী হলে বিষয়টি আপস মীমাংসার চেষ্টা চালায় হাসপাতাল মালিক মজিবুর রহমান বাবুল। এরই মধ্যে পালিয়ে যায় ধর্ষণচেষ্টাকারী ম্যানেজার আলম মিয়া। ঘটনার পর পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের মালিক মজিবুর রহমান বাবুলকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মূল আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় মালিককে আটক করা হয়েছে। মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।।