ঈদের আগেরদিন ২১২টি ছাগল ছিনতাই চেষ্টার মামলায় মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্না আগাম জামিন পেয়েছেন। সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তার চার সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। আজ মঙ্গলবার ওই ছাত্রলীগ নেতার জামিনের বিষয়টি জানা যায়। আইনজীবী আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, আদালত তাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ১৮ই আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ছাত্রলীগ নেতার পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আঞ্জুমান আরা বেগম মুন্নী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। গত ১১ই আগস্ট মুজাহিদ আজমী তান্নাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মোহাম্মদুপুর থানায় একটি মামলা করেন র্যাব-২ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. ফারুখ হোসেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১১ই আগস্ট সকালে যশোরের বারোবাজার পশুরহাট ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এলাকা থেকে পাঁচ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম, ফারুক বিশ্বাস, মোহাম্মদ মাসুদ, বাবু খান, শেখ সোলেমান ও মো. নুরুজ্জামান ট্রাকে করে ২১২টি ছাগল নিয়ে ঢাকায় আসেন। মোহাম্মদপুরের বাবর রোড এলাকায় গেলে জহুরি মহল্লা এলাকায় তাদেরকে ছাগলসহ আটকে রাখা হয়।
ছাগলগুলো ট্রাক থেকে নামিয়ে একটি ক্লাবের ভেতরে পাঁচ ব্যবসায়ীকে আটকে রাখেন। পরে র্যাব-২ এর একটি টহল দল জিম্মিদশা থেকে ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সজীব ঘোষ জানান, মামলার তিন আসামি ইয়াসির আরাফাত, জাহিদুল ইসলাম ও মো. রায়হানকে র্যাব-২ থানায় সোপর্দ করে। তাদের তিনদিন করে রিমান্ডে নেয়া হলে আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। সজীব ঘোষ বলেন, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাবর রোডের ছাত্রলীগ অফিসের কাছাকাছি স্থানে একটি অস্থায়ী ছাগলের হাট বসান। ওই হাটে ছাগল ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে রাখতেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। জিম্মি করে চাঁদা দাবি করতেন তারা। ছাত্রলীগের তৈরি ওই হাটে ছাগল রাখতেও জোর করা হতো ব্যবসায়ীদের।