রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের একটি পরিত্যক্ত বগির বাথরুম থেকে উদ্ধার মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশের ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, ময়নাতদন্তের সময় মেয়েটির গলায় আমরা দাগ পেয়েছি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর আলামত আমরা পেয়েছি।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০ টার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের একটি পরিত্যক্ত বগিতে এক ছাত্রীর লাশ দেখতে পায় টহলরত এক আনসার সদস্য। খবর পেয়ে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহতের পরিচয় উদঘাটন করে।
ঢামেক হাসপাতালে আসমার চাচা রাজু আহামেদ কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান, আসমা গত রোববার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। সোমবার পুলিশের মাধ্যমে তারা সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে এসে তার লাশ শনাক্ত করেন। তিনি আরও জানান, বাঁধন নামে স্থানীয় এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছি। বাঁধনও একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। আসমা নিখোঁজের পর থেকে ওই ছেলেকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর সে পলাতক রয়েছে। বাঁধনই তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি। তিনি আরও জানান, সে স্থানীয় খানবাহাদুর মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেছে। ৩ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়।
ঢাকা রেলওয়ে থানার এসআই মো. আলী আকবর জানান, ওই ছাত্রী কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলো বলে তার স্বজনেরা পুলিশকে জানিয়েছেন।