× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জৈন্তাপুরে বাল্যবিবাহ পণ্ড

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২১ আগস্ট ২০১৯, বুধবার

জৈন্তাপুরে পণ্ড হলো বাল্যবিবাহ। সোমবার দরবস্ত ইউনিয়নের করগ্রাম এলাকায় এ বাল্যবিবাহটি বন্ধ করে প্রশাসন। সঙ্গে ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। পুলিশ জানায়, দরবস্ত ইউনিয়নের করগ্রাম এলাকায় মেয়ের অমতে বিয়ে দিচ্ছিল তার পরিবার। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে বিয়েটি ভেঙে দিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকারনামা করান। করগ্রামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী ও ২০ বছর বয়সী এক কিশোরের মধ্যে তাদের অমতে পারিবারিক সিদ্ধান্তে বাল্যবিবাহের প্রস্তুতি চলছিল। এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে বাল্যবিবাহ রুখতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহারের তৎপরতায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করে বর-কনেকে পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়। পরে বিকাল ৩টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে তাদের হাজির করে পুলিশ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরিন করিমের সম্মুখে বর-কনে উভয়পক্ষের অভিভাবকরা বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ স্বীকার করেন এবং উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে মুচলেকা দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভুল স্বীকার করায় আদালত পূর্ণবয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার ঘোষণা দেন এবং বর-কনেকে নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় দেন।
ওসি শ্যামল বণিক জানিয়েছেন- গোপন সংবাদ পেয়ে আমি ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় বাল্য বিয়েটি বন্ধ করি বর-কনেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রেরণ করি। এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌরীন করিম বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সোচ্চার রয়েছে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ বিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর