পেকুয়া উপজেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুর্ধর্ষ জলদস্যু সর্দার কামাল হোসেন প্রকাশ বাদশা ডাকাত (৩৩) নিহত হয়েছে। গতকাল ভোররাত চারটার দিকে মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৪টি বন্দুক, ১২টি তাজা কার্তুজ, ৮টি খালি খোসা ও ৪টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। নিহত বাদশা তালিকাভুক্ত জলদস্যু ছিল। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে। সে ওই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। র্যাবের ভাষ্য, নিহত বাদশা ডাকাতের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি ও দস্যুতাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে অসংখ্য মামলা রয়েছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক মেজর মেহেদি হাসান ঘটনার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভোররাত চারটায় পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাটে জলদস্যু সর্দার বাদশার নেতৃত্বে একদল জলদস্যু ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
খবর পেয়ে র্যাব-১৫ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে জলদস্যুরা ট্রলারে করে পালিয়ে যায়। পরে জলদস্যুদের ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। হাসপাতালের দায়িত্বরত জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘মগনামার জেটিঘাটের অদূরে শরৎঘোনা এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ জলদস্যু বাদশা ডাকাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’