সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের সিদাইরগুল গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী ও সন্তানকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একই গ্রামের মৃত আবদুর রকিবের ছেলে নজরুল, নজমুল, কামরুল, জয়নুল ও শিরুল ইসলাম গংরা পূর্বশত্রুতার জেরে এ হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রবাসীর পিতা আবদুল কাদির বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৪ই আগস্ট সকালে প্রবাসী আবদুল মালিকের স্ত্রী শিরিনা বেগম ১২ বছরের ছেলে আবদুল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে তার পিত্রালয় দক্ষিণ সুরমার হাজরাই গ্রামে বেড়াতে যায়। ওইদিন বিকাল বেলা পিত্রালয় থেকে স্বামীর বাড়ি খাদিমনগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। অনুমান সন্ধ্যা ৭টার দিকে এয়ারপোর্ট থানাধীন সিদাইরগুল বসতবাড়ি রাগীব রাবেয়া মাদ্রাসার সম্মুখে উপরে উল্লিখিত সন্ত্রাসীরা পূর্বশত্রুতার জেরে শিরিনা বেগম ও তার ১২ বছরের ছেলে আবদুল আমিনকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে চুতুর দিকে ঘিরে ফেলে। এবং মহিলার গলার আধা ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও হাতের বালা জোর করে কেড়ে নেয়। মা এবং সন্তান চিৎকার শুরু করলে ১নং বিবাদী ছেলে আবদুল আমিনের মুখ চেপে ধরে এবং ৪ ও ৫নং বিবাদী শিরিনা বেগমকে পিছন থেকে পরনের শাড়ি দিয়ে মুখে চেপে ধরে। ফলে সন্ত্রাসীদের কাছে তারা অসহায় হয়ে পড়ে। তখন ছেলে আবদুল আমিনকে বেধড়ক মারপিট করে। ছেলেটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রবাসী আবদুল মালিকের স্ত্রী শিরিনা বেগমকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখম করে। এক পর্যায়ে শিরিনা বেগম চিৎকার করতে শুরু করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন এসে শিরিনা বেগম ও তার ছেলে আবদুল আমিনকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছান। ছেলের শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ২৩নং ওয়ার্ডের ২নং বেডে ভর্তি করা হয়। এদিকে থানায় মামলা হওয়ায় বিবাদীরা প্রবাসীর পিতা ও পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। প্রবাসীর পিতা বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।