চাঁদপুরের মতলবের নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের পেয়ারীখোলা গ্রামে নিহত সোহেল রানার মাথা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি ফরহাদ হোসেন প্রকাশ ফলু (১৮)কে আটক করা হয়েছে। তাঁর পিতার নাম জসিম উদ্দিন, গ্রাম পেয়ারীখোলা। ফরহাদ হোসেন হচ্ছে সোহেল রানার সম্পর্কে চাচাতো ভাই। মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ গত ১৯শে আগস্ট রাতেই ফরহাদ হোসেন প্রকাশকে আটক করে। আটক ফরহাদ হোসেন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং সোহেলকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহত সোহেল রানার মাথা পাশের বাড়ির পুকুরের কুচরিপানার নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় এবং ছুরিটি তাদের চাউলের ড্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। আটক ফরহাদ হোসেনকে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আসামি ফরহাদ হোসেন প্রকাশ ফলু পূর্ব-শত্রুতা ও মোবাইলকে কেন্দ্র করে সোহেল রানাকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ জানায়। নিহত সোহেলের পিতা জমির হোসেন জানান, আমি আমার পুত্র হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলেকে ঘাতক ফরহাদ হোসেন প্রকাশ ফলু ছুরির আঘাতে গলা কেটে হত্যা করেছে। সোহেল রানা নন্দীখোলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র, পিতা জমির হোসেন একজন কৃষক। এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।