× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভাঙা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ /মৌলভীবাজারে পর্যটন শিল্প বিকাশে নেই উদ্যোগ

বাংলারজমিন

ইমাদ উদ দীন, মৌলভীবাজার থেকে
২১ আগস্ট ২০১৯, বুধবার

পর্যটকদের মনোরঞ্জন যোগাতে বছর জুড়ে প্রস্তুত প্রকৃতির মানসকন্যা মৌলভীবাজার। কিন্তু প্রকৃতি প্রদত্ত এ জেলার প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের পর্যটন শিল্পকে অগ্রসর করতে পারছে না সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। পর্যটন শিল্প বিকাশে সম্ভাবনাময়ী এ জেলা শুধুমাত্র কার্যকরী উদ্যোগ ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে পিছিয়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুধু সভা সেমিনার বক্তব্য আর কাগজে কলমে তাদের এই উদ্যোগ সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এমনটি মনে করছেন প্রকৃতি প্রেমী পর্যটকরা। জানা যায়, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ লিলা ভূমি চায়ের রাজধানী খ্যাত পর্যটন নগরী মৌলভীবাজারকে ২০০৮ সালে পর্যটন জেলা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য সরকারের তরফে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপই নেয়া হয়নি। যার ফলে এ জেলায় বিকশিত হচ্ছে না এ শিল্প।
আর এ কারণে প্রতি বছর বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। পর্যটন জেলা ঘোষণার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোনো উদ্যোগ কিংবা পরিকল্পনার দৃশ্যমান কোনো উন্নতি চোখে না পড়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতাকে দায়ী করছেন পর্যটক বিশ্লেষকরা। এ জেলায় মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেইক, বাইক্কাবিল, চা বাগান ও একাত্তর বধ্যভূমি সহ হাতেগোনা কয়েকটি পর্যটন স্পট ব্যতীত নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলার মতো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করা হয়নি। অথচ জেলায় চা-বাগান, হাওর-বাঁওড়, পাহাড় ও সমতলের বৈচিত্র্যপূর্ণ জনপদের অর্ধশতাধিক আকর্ষণীয় স্পট রয়েছে। রূপ বৈচিত্র্যের এসকল স্পটকে ঘিরে পর্যটন শিল্প বিকাশে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ও দেশের সবচেয়ে বড় হাওর মিটা পানির মাছ, জলজ প্রাণী, উদ্ভিদসহ রূপ সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের আধার হাকালুকি হাওর জানান দিচ্ছে সম্ভাবনাময়ী পর্যটন শিল্পের হাতছানি। অথচ এই হাওরকে পর্যটন শিল্পের আওতায় আনার জন্য জেলা প্রশাসন কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকরী পদক্ষেপই হাতে নেয়নি। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান দেশ ও বিদেশি অনেক পর্যটক মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে যাওয়ার পথে জানতে চান হাকালুকির হাওরের অবস্থান ও কোন দিক দিয়ে হাওরে সহজে যাওয়া যায় ও বেড়ানো যায়। কিন্তু হাওরের অবস্থান ও বেড়ানো কিংবা যাওয়ার সহজ পথ ইত্যাদি জানান দিয়ে কোনো সাইনবোর্ডই টানায়নি জেলাপ্রশাসন কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অথচ বর্ষা মৌসুমে জেলার জুড়ী উপজেলার কন্টিনালা ব্রিজের পশ্চিমপাশ দিয়ে নৌকাযোগে ও শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে খুব সহজেই বিশাল হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা। শুধুমাত্র প্রচারণা না থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন পর্যটক। জেলা জুড়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হলে সরকারও রাজস্ব পেত। আর কর্মসংস্থানও হতো স্থানীয় মানুষের।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর থেকে ভাঙ্গা রাস্তায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন স্থানীয় লোকজনসহ দেশ বিদেশের পর্যটকরা। ভাঙ্গা রাস্তার কারণে যেমন চলাচলে কষ্ট হচ্ছে তেমনি তাদের গুনতে হচ্ছে অধিক ভাড়াও। আর নষ্ট হচ্ছে অতিরিক্ত সময়। যার কারণে দর্শনার্থীরা সহজে জেলার আর্কষণীয় পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখতেও পারছেন না। পর্যটকরা একটি পর্যটন স্পটে গেলে অন্যটিতে যাওয়ার ইচ্ছা করছেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, একাধিকবার দাবি তুললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তা মেরামতের জন্য কোনো উদ্যোগই নিচ্ছেন না। কয়েকজন পর্যটকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তারা বলেন, গেল কয়েক বছর থেকে মৌলভীবাজারের রাস্তাগুলো অনেকটাই চলাচলের অনুপযোগী। সহজে প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া যায় না। এজন্য অনেক পর্যটক  আগের মতো এখন ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ওখানে আসতে আগ্রহী হন না। তাদের দাবি যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো  উন্নত হলে পর্যটকদের উপস্থিতি দ্বিগুণ হারে বাড়বে। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট কোর্সের কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী কাজী মেজবাহুল ইসলাম বলেন নিরাপত্তা জোরদার, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও আবাসন ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করলে অমিত সম্ভাবনাময়ী মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন শিল্পকে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়া সম্ভব। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজনীন শিরিন বলেন, আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি সম্ভাবনাময়ী এজেলার পর্যটন শিল্প
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর