সেই ২০১৩ সালে জাতীয় দলের সব ফরমেট থেকে বাদ পড়েছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম অমি। ৬ বছরেও আর ফেরা হয়নি। এবার বিসিবি ঘোষিত কন্ডিশনিং ক্যাম্পের ৩৫ সদস্যের দলে রাখা হয়েছে তাকে। ক্যাম্পের প্রথম দিনই ফিটনেস পরীক্ষায় অমি ছাড়িয়ে গিয়েছেন জাতীয় দলের তারকা ও নিয়মিত ক্রিকেটারদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নয়তো ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফের ডাক পাওয়ার আশায় আছেন তিনি। স্বপ্ন দেখছেন ফের মাঠে নামার।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে ফর্মে নেই তামিম ইকবাল। এমনকি সেখান থেকে ফিরে শ্রীলঙ্কা সফরেও দলের হয়ে ব্যাট হাতে একেবারে রঙহীন।
আর অধিনায়ক হিসেবে হন ব্যর্থ। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় লঙ্কানদের কাছে। আর সেই কারণেই তিনি নিজেকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করে তুলতে ছুটি চেয়েছেন বিসিরি কাছে। সেটি মঞ্জুর হওয়ায় আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট ও ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলা হচ্ছে না তামিমের। ফলে নতুন ওপেনারদের সুযোগ হচ্ছে তামিমের জায়গায় নিজেদের প্রমাণ করার। সেখানে অমিও আশায় আছেন সুযোগ পেলে তিনি প্রমাণ করার মিশনে নামবেন। তবে অমি মনে করেন তামিমের না থাকা শুধু তার নিজের নয়, অন্যদেরও প্রমাণের সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘তামিম অনেক বড় মানের খেলোয়াড়। ওর জায়গা পূরণ করাটা কঠিন। এখন একটা সুযোগ, যারা বাকিরা আছে সাদমান, ইমরুল, আমি, সৌম্য। টেস্ট ক্রিকেট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফরম্যাট। যদি এখানে পারফর্ম করা যায় তাহলে সব ফরম্যাটেই পারফরম করা সহজ। আমি বলব, যেহেতু তামিম নেই, তাই যারা থাকবে তাদের জন্য এটা বিরাট সুযোগ।’ এর আগে তিনি দেশের হয়ে ৭ টেস্ট, ১৪ ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন অমি।