সংবাদপত্রের সাংবাদিক ও কর্মচারীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণে গঠিত নবম ওয়েজ বোর্ডের চূড়ান্ত গেজেট (প্রজ্ঞাপন) প্রকাশে বাধা নেই। এ নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া স্থিতাবস্থা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ ও অমিত তালুকদার। রিটের পক্ষে ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. ইউসুফ আলী। এর আগে সোমবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, সাংবাদিক ছাড়া সংবাদপত্রের (গণমাধ্যমের) মালিকরা অস্তিত্বহীন বলে মন্ত্রব্য করেন। আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ পরে সাংবাদিকদের বলেন, আদেশটি সাংবাদিকদের জন্য সুখবর বলা যেতে পারে।
আমরা চেয়েছিলাম, আমাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে যেন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি আরো বলেন, হাইকোর্টের আদেশটি আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত হওয়ায় সরকার চাইলে এখন ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশ করতে পারে। তবে হাইকোর্ট যে রুল এর আগে দিয়েছিল তার ওপর শুনানি হবে। এর আগে গত ৬ই আগস্ট সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণে গঠিত ৯ম ওয়েজ বোডের্র গেজেট প্রকাশের (প্রজ্ঞাপন) ওপর দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অংশীজনদের (নোয়াব) আপত্তি ও সুপারিশ প্রজ্ঞাপনের বিবেচনায় না নেয়াকে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য সচিব, শ্রম সচিব ও ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান নিজামুল হককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তার আগে গত ৫ই আগস্ট, ওয়েজ বোর্ডের প্রজ্ঞাপন প্রকাশে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) প্রেসিডেন্ট ও প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান। উল্লেখ্য, গত ২৯শে জানুয়ারি সরকার পত্রিকার সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো নির্ধারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি (অব) নিজামুল হককে প্রধান করে ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়।