× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সোনারগাঁয়ে নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষণ

শেষের পাতা

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২১ আগস্ট ২০১৯, বুধবার

সোনারগাঁয়ে এক নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষণ করেছে ৫ বখাটে। গত সোমবার উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে  ওইদিন রাতেই  মাহমুদুল হাসান হিমেল (২৫), শফিকুল ইসলাম (২৪), সজীব (২০), সানজিদ (২০) ও সিয়াম (২২)কে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ৩ ধর্ষককে আটক করেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয় ধর্ষিতা একজন পেশাদার নৃত্যশিল্পী। বিভিন্ন বিয়ে-শাদি, সুন্নতে খৎনা ও কোম্পানির বার্ষিক অনুষ্ঠানের স্ট্রেজ শোতে নৃত্য করে থাকেন। উপজেলার সুচারগাঁও গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে মাহমুদুল হাসান হিমেলের সঙ্গে তার পূর্ব পরিচয় ছিল। সে সুবাদে মোবাইল ফোনে সোমবার দুপুরে দড়িকান্দি এলাকায় অবস্থিত সেফওয়ে আইসক্রিম ও তিব্বত ফ্যাক্টরি স্টেজ প্রোগ্রামে নৃত্য করার জন্য সহপাঠীদের নিয়ে আসতে ৬ হাজার টাকায় ভাড়া করে ১ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেয়। তার কথামতো নৃত্যশিল্পী সোমবার দুপুরে সেফওয়ে ফ্যাক্টরিতে আসলে হিমেল মেকআপ করানোর কথা বলে সেফওয়ে ফ্যাক্টরিতে সিকিউরিটি ব্যারাকের সামনে নিয়ে যায়।
এসময় তার সঙ্গে থাকা ড্যান্সার মামুনকে হিমেলের সহপাঠী শফিকুল ইসলাম, সজীব ও সিয়াম জিম্মি করে অন্যত্র নিয়ে যায়। নৃত্যশিল্পীকে কাঁশবনে নিয়ে হিমেলসহ ৪ জন পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। সিয়াম ধর্ষকদের ধর্ষণ করতে সহযোগিতা করেন।
পরে ধর্ষিতা সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে, মাহমুদুল হাসান হিমেল, শফিকুল ইসলাম ও সজীব নামের তিনজনকে  গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষক মাহমুদুল হাসান হিমেল সোনারগাঁ উপজেলার সুচারগাঁও গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে, শফিকুল ইসলাম কাজীরগাঁও গ্রামের মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে, সজীব ইলিয়াসদী গ্রামের হাসানের ছেলে, সানজিদ একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে ও সিয়াম বন্দর উপজেলার কামতাল গ্রামের মজিবরের ছেলে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, নৃত্যশিল্পীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মাহমুদুল হাসান হিমেল, শফিকুল ইসলাম ও সজীবসহ তিনজনকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর