সরষের মধ্য সরষে থাকাই ভালো, ভূত থাকতে নেই বলে মন্ত্রব্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিনাদোষে কারাভোগকারী জাহালমের বিরুদ্ধে করা ভুল মামলায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুদকের নেয়া পদক্ষেপ আদালতে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করেন। এবং দাখিল করা প্রতিবেদনের শুনানির এক পর্যায়ে হাইকোর্ট এই মন্তব্য করেন। কিন্তু প্রতিবেদনে কোন কোন তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, কী অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এসব না থাকায় প্রতিবেদন গ্রহণ করেননি হাইকোর্ট। পরে ওই ১১ তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আগামী বুধবার দুপুরের মধ্যে বিভাগীয় মামলার বিবরণ ও নামসহ পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী বুধবার পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে আসাদ্দুজ্জামান শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। শুনানিতে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, দুদক ১১ তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেছে।
তখন আদালত বলেন, প্রতিবেদনেতো তাদের নাম নেই। কি জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলো। প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ নয়। পুরো প্রতিবেদন জমা দিন। তখন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আমি কাল প্রতিবেদনটি হাতে পেয়েছি। দুদক যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে কাজ করছে। আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। তখন আদালত বলেন, আমরাতো এটিই দেখতে চাই। সরষের মধ্য সরষে থাকাই ভালো, ভূত থাকতে নেই। ্এত করে আপনাদের ভাবমূর্তি বাড়বে। তখন খুরশিদ আলম খান বলেন, আমাদের নয়। পুরো দেশের ভাবমূর্তি বাড়বে।