× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিরিরবন্দরে ওদের রক্তে বাঁচে অন্যের প্রাণ

বাংলারজমিন

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার

জাতিধর্মবর্ণসহ সকল বিভেদ পেছনে ফেলে নিজের রক্ত দিয়ে অন্যকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানব সেবায় আমরা’র এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী ও যুবককর্মী। রক্তের প্রয়োজনে যে কেউ ফোন করলে তারা নিজেরাই রক্ত দিতে চলে যায় অথবা কাউকে রক্তদানে উৎসাহী করে রক্তের চাহিদা মিটিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দরে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন মো. রশিদুল ইসলাম ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মো. মহসিন আলী। বর্তমানে এ সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মো. হাবিবুর রহমান হাবিব এবং সার্বিকভাবে পরিচালনা করছেন মো. আব্দুল্লাহ আল হাবিব। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘মানব সেবায় আমরা’র প্রায় সহস্রাধিক রক্তদাতা সদস্য রয়েছে। তারা দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, সৈয়দপুর, নীলফামারী, রংপুর, বগুড়া, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। এ ছাড়াও ‘মানব সেবায় আমরা’র প্রায় ২ শতাধিক ভলান্টিয়ার রয়েছে।
এর ডোনাররা কমপক্ষে ৫-৭ বার করে রক্তদান করেছেন। তারা শুধু রক্তদানই করছেন। তারা রক্তদানে বিভিন্ন জনকে উৎসাহিত ও বিনা পয়সায় রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ও করে দেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে এদের মধ্যে রক্তদানে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ২৮ বছর বয়সী মো. রশিদুল ইসলাম। তিনি এ পর্যন্ত ২২ বার এ পজিটিভ রক্ত দিয়েছেন। সহ-প্রতিষ্ঠাতা মো. মহসিন আলী ১৯ বার ও পজিটিভ, সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব ২১ বার ও পজিটিভ রক্তদান করেছেন। এছাড়া সংগঠনের মো. মিরাজুল ইসলাম সোহাগ ২০ বার এ পজিটিভ, মাসুদ সরকার ২০ বার বি পজিটিভ, মো. সবুজ ১৩ বার বি পজিটিভ, ফাল্গুনী রায় ৭-৮ বার এবি পজিটিভ রক্ত দিয়েছেন। এছাড়াও এসংগঠনের অন্য সদস্যরাও কমপক্ষে ৭-৮ বার করে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। সংগঠনের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল হাবিব জানান, আমরা চাই আমাদের দেয়া রক্তে বেঁচে যাক মুমূর্ষু রোগীরা। তাদের এই বেঁচে যাওয়াই আমাদের প্রাণে প্রশান্তি জোগায়। তবে আমাদের মতো সকলকে রক্তদানে এগিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়াও কোনো প্রসূতি মায়ের জন্য রক্তদানের ক্ষেত্রে তার নিকটতম আত্মীয়দের এগিয়ে আসা উচিত।
সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, কারো সন্তান প্রসবের অন্তত দুই মাস আগে থেকে তার আত্মীয়স্বজনদের মধ্য থেকে ওই গ্রুপের রক্ত খোঁজ করে বের করতে হবে। তাহলেই রক্তের অভাবে কারণে কোনো মায়ের আর মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়তে হবে না। সর্বোপরি রক্তদানের মতো এমন মহৎ কাজে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই কেউ আর রক্তের জন্য মৃত্যুবরণ করবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর