কিশোরগঞ্জে মাত্র সোয়া ৮ ঘণ্টার মধ্যে চারটি পৃথক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকাল সোয়া ৬টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জেলার করিমগঞ্জ, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ সদর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় এই চারটি খুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে করিমগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে একজন, মিঠামইনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির লোকজনের বল্লমের আঘাতে একজন, কিশোরগঞ্জ সদরে মেয়ের জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি এবং পাকুন্দিয়ায় ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুন হন। এ ছাড়া এসব ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। করিমগঞ্জে ছোটদের খেলাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সুলাল (৫২) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এ ছাড়া আরো একজন আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুতারপাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুলাল দক্ষিণ সুতারপাড়ার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত চাচাতো ভাই সবুজসহ ৬ জনকে আটক করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১০টার দিকে গ্রামের ছোটদের খেলার মধ্যে ঝগড়া হয়। ছোটদের এই ঝগড়ার সূত্র ধরে দুপুর ২টার দিকে মহিলারা ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এর জের ধরে বেলা আড়াইটার দিকে পুরুষেরা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই সবুজ (৫০) সুলালকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সুলাল লুটিয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। ঘাতক চাচাতো ভাই সবুজ গ্রামের নজিম উদ্দিনের ছেলে।
করিমগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, ছোটদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সবুজসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।