রাজশাহীর তানোরে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কামারগাঁ ইউপি’র ধানুরা গ্রামে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি আগা খান বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদী করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগে ধানুরা গ্রামের জমির উদ্দিনের পুত্র আহসান হাবিব, লালমোহাম্মদের পুত্র আফরোজ, লবির উদ্দীনের পুত্র নজরুল ইসলাম ও নিয়ামত আলীর পুত্র লিটনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে সরেজমিন পরিদর্শনে এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে এসেছে, আগা খানের দাবিী- তার প্রতিপক্ষরা রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ভাঙচুর করেছেন এতে তার প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। অন্যদিকে গ্রামবাসীর দাবি- আগা খান প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে ওই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে। স্থানীয়রা জানান, আগা খান স্বঘোষিত সভাপতি হয়ে প্রায় একবছর আগে ধানুরা মাঠে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কার্যালয় নাম দিয়ে বেড়া-টাটি দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে সেটি প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল এখানে সংগঠনের তেমন কোনো কর্মকাণ্ড কখানোই দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কামারগাঁ ইউপি আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, মূল দল বা সহযোগী সংগঠনের দলীয় কার্যালয় করতে হলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে করতে হয়। কিন্তু আগা খান কাউকে কিছু না জানিয়ে ধানুরা মাঠে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কার্যালয় নাম দিয়ে বেড়া-টাটি দিয়ে ঘিরে রাখে ১৩ই আগস্ট দিবাগত রাতে কে বা কারা সেটি ভেঙে দিয়েছে হতে পারে ছেলেপুলেদের কাজ। তিনি বলেন, প্রায় একবছর আগে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কার্যালয় নামে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে প্রতিপক্ষরা যদি ভাঙচুর করবেন তাহলে তখনই করতে পারতেন এতোদিন পরে করবে কেন, তাছাড়া এক লাখ টাকা ক্ষতির কথা বলা হয়েছে যেটা হাস্যকর এটা জরিমানা আদায়ের চেষ্টা সকলের দাবি প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আগা খান ঘর ভাঙচুরের নাটক সাজিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আগা খান বলেন, প্রতিপক্ষ আহসান হাবিব তার লোকজন নিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কার্যালয় ভাঙচুর করেছে এতে তার প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষরাই তার বিরুদ্ধে ভাঙচুর নাটকের কথা প্রচার করে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।