× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাঁথিয়ায় ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল, শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারীকে শোকজ

বাংলারজমিন

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হেড কেরানির (উচ্চমান সহকারী) ঘুষ গ্রহণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এখন ভাইরাল। এ অবস্থায় তাকে শোকজ করেছেন পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ বরাদ্দ, মেরামত বাবদ অনুদান, ওয়াশ ব্লক ও রুটিন মেইনটেনেন্স বাবদ বরাদ্দকৃত টাকার ৬ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী গোলজার হোসেনের বিরুদ্ধে।
এক সাংবাদিক সোমবার রাতে একযোগে তার ফেসবুক আইডি ও সিটিজেন ভয়েসের পেইজে ঘুষগ্রহণের একটি ভিডিও পোস্ট করার পর থেকে অসংখ্য শেয়ার ও মন্তব্যে তোলপাড় হয় ফেসবুক পেজ। ভিডিওতে দেখা যায়, উচ্চমান সহকারী গোলজার হোসেনকে কাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনি ঘুষের টাকা দিচ্ছেন। তিনি টাকা টেবিলের নিচে নিয়ে গুনে তা প্যান্টের পকেটে রাখছেন। ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর থেকেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
সাঁথিয়া উপজেলার কয়েকজন সহকারী শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মর্জিনা খাতুনের নির্দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ বরাদ্দ, মেরামত বাবদ অনুদান, ওয়াশ ব্লক ও রুটিন মেইনটেনেন্স বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন অফিসের উচ্চমান সহকারী গোলজার হোসেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসারগণ জানান, ১৭৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭৫টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জোরপূর্বক বিল তৈরি বাবদ উচ্চমান সহকারীর মাধ্যমে শিক্ষা অফিসার বরাদ্দের ৮ থেকে ১০ ভাগ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছে। সোনাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নান, হাটবাড়িয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল বাতেনসহ অনেকে বলেন, সরকার প্রদত্ত স্কুলের উন্নয়ন কাজের বিল গ্রহণে অগ্রিম ঘুষ প্রদানে আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে।
ঘুষের টাকা পরিশোধ না করলে বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হতে হয়।
গত ১৮ই আগস্ট উপজেলার আমোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পরিচয়ে স্লিপ বরাদ্দের টাকার চেক গ্রহণে উচ্চমান সহকারী গোলজার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন। তিনি পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বিল করতে রাজি হন বলে এ প্রতিবেদককে জানান খোকন।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে ব্যবস্থা গ্রহণে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল হালিম। এছাড়াও তিনি শিক্ষা অফিসারসহ অফিসের কর্মকর্তাদের ডেকে অপরাধীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে সতর্ক করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মর্জিনা খাতুন জানান, গোলজার হোসেনের ঘুষ গ্রহণের তথ্য আমি পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হওয়ায় তাকে শোকজ করেছেন পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে ইউএনও আবদুল হালিম জানান, ফেসবুকে পাওয়া ভিডিও ক্লিপ দেখে আমি ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবগত করেছি। তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর