× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত কনস্টেবল উমর ফারুকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার

সহকর্মীদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় চির বিদায় নিলেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর মিশনে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশ কনস্টেবল মো. উমর ফারুক। তার নামাজে জানাজা গতকাল সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশ সদস্যগণ, মরহুমের আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ এবং জাতিসংঘের পতাকায় মোড়ানো কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ডিএমপি কমিশনার মো: আছাদুজ্জামান মিয়া এবং অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে মালি মিশনের ইনডিভিজ্যুয়াল পুলিশ অফিসার ও এআইজি (ইউএন অ্যাফেয়ার্স) নাসিয়ান ওয়াজেদ মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। একটি চৌকস পুলিশ দল মরহুমকে সশস্ত্র সালাম প্রদান করে। এ সময় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে।
এর আগে গতকাল ভোরে কনস্টবল ফারুকের মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ইউএন অ্যাফেয়ার্সের কর্মকর্তাগণ এবং মরহুমের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় তাঁর স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। বিমানবন্দর থেকে পুলিশ এসকর্টসহ শান্তিরক্ষী উমর ফারুকের মরদেহ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে আনা হয়। জানাজা শেষে পুলিশ এসকর্টসহ মরদেহ ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, কনস্টবল মো: উমর ফারুক গত ৫ই আগস্ট মালির স্থানীয় সময় ৮টা ২৩ মিনিটে লেভেল-২ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি পিতা-মাতা, স্ত্রী, তিন পুত্র সন্তান এবং বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর