টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছে ভারত। আজ অ্যান্টিগায় দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হচ্ছে বিরাট কোহলির দল। এই টেস্টে জিতলেই ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির পাশে বসবেন কোহলি। ৩০ বছর বয়সী কোহলির নেতৃত্বে ৪৬ টেস্টে ২৬ জয় দেখেছে ভারত। আর ৬০ ম্যাচে ধোনির জয় ২৭টি। অন্যদিকে, একটি সেঞ্চুরি করলেই কোহলি ছুঁয়ে ফেলবেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংকে। অধিনায়ক হিসাবে টেস্টে ১৯টি সেঞ্চুরি করেছেন পন্টিং। কোহলির সেঞ্চুরি ১৮টি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ও ওপেনার গ্রায়েম স্মিথ ২৫ সেঞ্চুরি নিয়ে তালিকায় সবার উপরে আছেন।
২০১৪ সালে ধোনির কাছ থেকে টেস্ট অধিনায়কত্বের ঝান্ডা হাতে পান কোহলি। সে বছর অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথে ধোনি টেস্ট থেকে অবসর নিলে দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় কোহলিকে। এরপর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডকে হারানোর কীর্তি গড়েন তিনি। সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মাটিতে ২-১ ও ৪-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছে তার। তবে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে কোহলির সবচেয়ে বড় অর্জন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়। গত বছর নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অজিদের মাটিতে ৩-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত। অধিনায়ক হিসেবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও উজ্জ্বল কোহলি। ৬২.৭০ গড়ে ৪৫১৫ রান করেছেন তিনি। বর্তমানে টেস্টের সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি। তবে ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের রাজত্ব হুমকিতে ফেলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ। ১ বছর পর জাতীয় দলে ফিরেই কোহলির রেটিং পয়েন্টের কাছাকাছি চলে এসেছেন স্মিথ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাই ভালো খেলার একটা তাড়না থাকবে কোহলির। ওয়ানে সিরিজটা দারুণ কেটেছে তার। তিন ম্যাচের সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দুটি। সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চাইবেন টেস্টে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ব্যাটিং রেকর্ডও ভালো। এখন পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ১২ ম্যাচে ৪৫.৭৩ গড়ে ৬৮৬ রান করেছেন কোহলি।