× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১১ মে ২০২৪, শনিবার , ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই সিটিতে ৩৯০০০০ টাকা জরিমানা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ডেঙ্গু জ্বরের উৎস এডিস মশার লার্ভা নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) স্টান্ডার্ড বিল্ডার্সসহ ৩টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং ১০ জন বাড়ির মালিককে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই  অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) দুটি বাড়ির মালিককে ২ লাখ টাকা এবং ফুটপাথে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে চারটি দোকান মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। গতকাল রাজধানীর ডিএসসিসি বিভিন্ন এলাকা এবং ডিএনসিসির গুলশান এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়।

এরমধ্যে ডিএসসিসি কয়েকটি এলাকায় মোট ২৪১টি বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কাঠালবাগান এলাকায় ২৮টি বাড়ি পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ২২২ কাঠাঁলবাগানে নির্মাণাধীন স্টান্ডার্ড বিল্ডার্সের ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ফ্রি স্কুল স্ট্রীটের অন্য একটি বাড়িতে এডিসের প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাবর আলির নেতৃত্বে পরিচালিত এডিসের লার্ভা ধ্বংস অভিযানে আজিমপুর মধ্য কলোনীতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্মাণাধীন নূরানী কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার মো: সোহেল ও পদ্মা কনস্ট্রাকশন এসোসিয়েটসের সাইট ইঞ্জিনিয়ার শ্রীমোহন সাহা উভয়কে আলাদাভাবে ২৫ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উদয়ন দেওয়ানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৬০টি বাড়ি এবং ২টি কলেজ পরিদর্শন করা হয়।
এরমধ্যে সুবাস বোস এভিনিউতে ৪৫/এ নম্বর বাড়িতে পানি জমে থাকার কারণে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন দয়াগঞ্জের ২৮ বাড়িকে ৫ হাজার টাকা ও আর কে মিশন রোডের ১৩ নং বাড়িকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৩ এর গুলশান এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট মো. হেমায়েত হোসেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর দণ্ড বিধি অনুযায়ী ১৯ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাড়িকে ১ লাখ টাকা এবং ২১ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ফুটপাতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে ৪টি দোকান মালিককে ৫ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ১৯ নং ওয়ার্ডে এডিস মশার বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২০১টি বাড়ি পরিদর্শন করা হয়। এরমধ্যে ১৫টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয় এবং ‘সাবধান এই বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া গিয়াছে’ লেখা সম্বলিত একটি স্টিকার লাগিয়ে দেয় হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর