× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কে হচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব

শেষের পাতা

বিশেষ প্রতিনিধি
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ডিসেম্বরে ফাঁকা হচ্ছে প্রশাসনের অতি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব পদ। এর মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ 
সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শেষ হবে। মূখ্য সচিব নজিবুর রহমানের নিয়মিত চাকরি শেষ হবে ডিসেম্বরের শেষ দিনে। তাই দুই পদেই নতুন করে
নিয়োগ হবে নাকি পুরনোরাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন এনিয়ে প্রশাসনে চলছে জোর আলোচনা। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, মন্ত্রীপরিষদ ও মূখ্যসচিব পদে বর্তমানে কর্মরতরা বেশ ভালভাবেই তাদের দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন। তবুও এ দুই পদে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের নাম আলোচনায় রয়েছে। তাদের মধ্য থেকেই মূখ্য সচিব ও মন্ত্রীপরিষদ সচিব নিয়োগ করা হতে পারে। আবার পুরনোদের মধ্য থেকেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হতে পারে।


সব কিছু প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এদিকে চলতি বছরের মধ্যে ১৬ জন সচিবের চাকরির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। আগামী বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৪ জন সচিব চাকুরি শেষে অবসরে যাবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রশাসনে ৭৬ জন নারীসহ ৪৭৪ জন অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৮৬ ব্যাচসহ তদূর্ধ্ব ব্যাচের অতিরিক্ত সচিব আড়াই শতাধিক। এ বছর যে ১৬ জন সচিবের পদ শূন্য হবে তা পূরণে ১৯৮৬ ব্যাচকে প্রাধান্য দিয়ে সচিব পদের জন্য বিবেচনা করা হবে। গত কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত সচিবদের প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হতো। এখন সে নিয়ম পাল্টে সরাসরি সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার নিয়ম করা হয়েছে।

বর্তমানে এক জন সচিবের পদ শূন্য হলে সর্বোচ্চ তিন জনের একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এসএসবির কয়েকজন সদস্য মিলে এ তালিকা তৈরি করেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী এক জনকে নিয়োগের নির্দেশনা দেন। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগ দিয়ে থাকে। নীতিমালা অনুযায়ী সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সভায় পর্যালোচনা করে অন্যান্য পদে যেভাবে পদোন্নতি দেয়া হয় সেভাবে কার্যত সচিবের ক্ষেত্রে হয় না বলেই দীর্ঘদিনের রেওয়াজ লক্ষ্য করা যায়। এতে করে অনেক সিনিয়র ও যোগ্য কর্মকর্তা সময়মতো সচিব হতে পারেন না। বর্তমানে ১৯৮২ ব্যাচ বিশেষ ব্যাচ (৮৩), ৮৪, ৮৫, ৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তারা সচিব পদে কর্মরত আছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর