শহরের ভাদুঘরে দু’দফা হামলা হয়েছে একটি পরিবারের ওপর। লুটপাট চালানো হয় বাড়িতে। হামলায় অন্তত আটজন আহত হন। এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভাই জড়িত। গতকাল বুধবার সকালে ও বিকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কার্তিক বর্মণ (৬৫), কৃষ্ণ বর্মণ (৪৫), সাবিত্রী বর্মণ (৪০), সেতু বর্মণ (৪০), নূপুর বর্মণ (১২), জবা বর্মণ (১০), ইতি বর্মণ (৬), পূজা বর্মণ (৫)। তারা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে সন্ধ্যা নাগাদ এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি। বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হাজির হয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহারের আপন চাচাতো ভাই নুরুল হুদার (৫৫) সঙ্গে বুধবার সকাল সাতটার দিকে চলাচলের রাস্তায় গাছ লাগানো নিয়ে কার্তিক বর্মণের কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে কার্তিক বর্মণকে মারধর করে নুরুল হুদা ও তার লোকজন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার ছেলে কৃষ্ণ বর্মণও মারধরের শিকার হন। এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রফিকুল ইসলামকে অবহিত করা হলে তাদেরকে নির্ভয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন। ফের বিকালে নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৮/১০ জন লোক ঘুমিয়ে থাকা কার্তিকের পরিবারের ওপর হামলা করে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রফিকুল ইসলাম নেহার বলেন, ঘটনাটি তেমন কিছু নয়। দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে আমি আলোচনা করে মীমাংসা করে দিবো। হামলার শিকার পক্ষটি তাঁর কাছে আসেনি বলে জানান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।