× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রানা প্লাজা ধস ট্র্যাজেডির হত্যা মামলায় /৪১ আসামির বিরুদ্ধে আগামী ২০শে নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ

দেশ বিদেশ

কোর্ট রিপোর্টার
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার

সাভারের রানা প্লাজা ধসের আলোচিত ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২০শে নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। গতকাল মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু দুই আসামির পক্ষে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। এ অবস্থায় অন্যান্য আসামির পক্ষে মামলার কার্যক্রম চলতে পারে না বলে সাংবাদিকদের জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। এজন্য তারা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২০শে নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
গত ২০১৬ সালে ১৮ই জুলাই উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিপক্ষের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে  ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ফলে ১১৩৬ জন পোষাক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলায় ভবন মালিক সোহলে রানাসহ ৪১ আসামির বিচার শুরু হয়। অভিযোগ গঠনের দিন ভবন মালিক সোহেল রানাসহ গ্রেপ্তারকৃত মোট ৩৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাকি ছয়জনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার কাজ চলছে। আসামিদের মধ্যে মো. শাহ আলম ওরফে মিঠু, মো. আবুল হাসান ও সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে আসামি সোহেল রানাকে পালাতে সহযোগিতার জন্য দণ্ডবিধির ২১২ ধারায় এবং অপর ৩৮ আসামির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে ৩০২ ধায়ায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিনে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তা পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
গত ১৫ই মার্চ ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদি তাহমিদা আদালত পলাতক থাকা আসামিদের বিরুদ্ধে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি প্রাপ্তির পর মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন। রানা প্লাজার ঘটনায় হত্যা মামলায় ভবন মালিক রানা ও ইমারত পরিদর্শক আওলাদসহ ৬ জন কারাগারে রয়েছে এবং ৬ আসামি পলাতক রয়েছে। এদিন কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২০১৫ সালের ২১শে ডিসেম্বর সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করে পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন।
গত বছরের ৮ই জুলাই ইমারত নির্মাণ আইনে দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনুর রহমান।
এ মামলায় ৪১ আসামির মধ্যে এখন ৬ জন পলাতক আছেন। ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলায় ১৮ জনের মধ্যে পলাতক আছেন ৭ জন। তবে একই আসামি দু’মামলায় থাকায় মোট ৪২ আসামি ধরা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর