× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একজন পর্নো তারকার পরিণতি

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) আগস্ট ২২, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

পর্নো তারকা জেনি লি। তার আসল নাম স্টেফানি সাদোরা। বিশ্বের নামীদামি পর্নো তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। এখন পর্নো ছবিতে অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন। তবু এ বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পর্নো অভিনেত্রীদের মধ্যে বিশ্বে ১১৯তম তিনি। কিন্তু বিস্ময়ের খবর হলো ৩৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী এখন গৃহহীন। তিনি বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে আন্ডারগ্রাউন্ডে। সেখানকার বাসাবাড়ির ব্যবহৃত পানি বা বৃষ্টির সময়কার পানি সরে যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে যেসব টানেল, তার একটিতে ঠাঁই নিয়েছেন তিনি।
বসবাস করছেন সেখানেই। মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হলে সেই টানেলের ভিতর পানি জমে যায়। সেখানেই কোনোমতে মাথা গুঁজে অবস্থান করেন তিনি। জেনি লি একাই নন। ওই টানেলে বসবাস করেন আরো প্রায় ৩০০ গৃহহীন মানুষ। তাদের অনেকেই নেশায় আসক্ত। তবে জেনি লি সে পথে পা দিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে এরই মধ্যে তিনি বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছেন।

নেদারল্যান্ডের একটি সংবাদ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্রের জন্য গত মাসে ওই টানেলে যান একজন সাংবাদিক। তারা টানেল নেটওয়ার্ক নিয়ে ওই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করছিলেন। এ সময় তার চোখে পড়েন জেনি লি। তার সাক্ষাতকার নেন ওই সাংবাদিক। এ সময় জেনি লি নিজের পরিচয় দেন। এ নিয়ে ওই সাংবাদিক বলেছেন, পর্নো ছবির জগতে যে দাপুটে জেনি লি’কে দেখা গেছে, এখন তাকে দেখে চেনাই যায় না। তার শরীর ভেঙে গেছে। নেই কোনো চাকচিক্য। তিনি নিজেই বিখ্যাত পর্নো তারকা জেনি লি বলে পরিচয় দিয়েছেন। বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে আমি খুবই খ্যাতি পেয়েছিলাম পর্নো জগতে। হয়তো বিখ্যাতর চেয়ে বেশি কিছু।

ডাচ ওই প্রামাণ্যচিত্র প্রচারিত হয়েছে আরটিএল৫ চ্যানেলে। এতে জেনি লি’কে বলতে শোনা যায়, এখনও কোনো কোনো তালিকায় শীর্ষ ১০০ পর্নো তারকার মধ্যে আমার নাম থাকা উচিত। আমি এতটাই উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ছিলাম।

জেনি লির মূল বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের টিনেসির ক্লার্কসভিলে। তবে তিনি কতদিন এভাবে গৃহহীন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিভাবে তিনি ওই টানেলে আশ্রয় নিলেন বা সেখানে আশ্রয় খুঁজে পেলেন তাও পরিষ্কার হওয়া যায় নি। সেখানে পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। তা সত্ত্বেও সেখানে বসবাস করে তিনি খুব খুশি বলে জানিয়েছেন। বলেছেন, গায়ে গায়ে মিশে সেখানকার মানুষদের বসবাস। তারা একে অন্যকে খুব আপন করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে বসবাস করা খুব কঠিন নয়, যেমনটা আপনি ভাবছেন। আসলে এখানে সবাই একে অন্যকে সম্মান করেন। প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের সম্পর্ক ভাল। আমি খুভ সুখী। আমার যা প্রয়োজন তার সবটাই এখানে আছে।

তিনি বিশ্বাস করেন, মাটির নিচে অন্ধকার এই টানেলে আসার কারণে তিনি কিছু খাঁটি বন্ধু খুঁজে পেয়েছেন। এখনও পর্নো বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে তার সাবস্ক্রাইবার প্রায় ৪৫০০০ মানুষ। ১৯ বছর বয়সে তিনি শুরু করেছিলেন মডেলিং। তারপর কিছু টিভি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তবে প্রথম পর্নো ছবিতে অভিনয় করেন ২১ বছর বয়সে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর