হাসপাতালেই বাড়ি। হাসপাতালেই বাস। সাত বছর বয়স আয়েশার। আর মাত্র সাত মাস আমেনার। সাত বছরে আয়েশা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকেই আপন করে নিয়েছে। এখানেই থাকা। এখানেই নাওয়া, খাওয়া। আপনজন বলতে হাসপাতালে আসা রোগী।
আর ওয়ার্ড বয়, আয়া, নার্সরা তার যেন খেলার সাথী। হাসপাতালের খাবার খেয়েই বড় হচ্ছে আয়েশা। সাত বছর আগের কথা। অজ্ঞাত কেউ এসে সদ্য অসুস্থ নবজাতক হিসাবে আয়েশাকে ভর্তি করে দিয়ে যায় হাসপাতালে। এরপর আর কেউ তাকে নিতে আসেনি। খোঁজও নেয়নি। সেই থেকে হাসপাতালই তার বাড়ি ঘর। আর সাত মাস আগে সাভারের পাভেল নামে এক ভদ্র লোক আমেনাকে কুড়িয়ে পায়। আমেনাও নবজাতক। পাভেল তাকে নিয়ে আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আমেনাকে দেখা শুনা করে হাসপাতালেরই এক নারী কর্মী। ওদের দেখে মানুষজন আফসোস করে। কিন্তু এদিকে আয়েশার ভ্রুক্ষেপ নেই। দিন রাত হাসি খুশিতেই কাটাচ্ছে আয়েশা। কিন্তু এভাবে কতদিন? আয়েশার পর আমেনারও একই পথ। ওদের ভবিষ্যৎ হয়তো অন্ধকার, হয়তোবা আলোকিত। কিন্তু এ মুহুর্তে ওরা যে অসহায়। ওদের নিয়ে ভাববার কেউ কি আছেন?