লক্ষ্মীপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করে গতকাল দুপুরে প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ মো. মির্জা ফিরোজ হাসানকে প্রধানকে করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ইলেকট্রনিক্স মো. আরিফুর রহমান। উক্ত কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে বুধবার দুপুরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর অভিভাবক। ছাত্রীর স্বজনরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে বাসায় প্রাইভেট পড়াতেন শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকার। খাতায় বেশি নাম্বার দেয়ার কথা বলে ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় যৌন নিপীড়ন করে আসছিল ওই শিক্ষক। এসব বিষয়ে পরিবারকে জানায় ছাত্রী।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারের বিচার চেয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তবে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহাবুবুর রশিদ তালুকদার অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক লিটন চন্দ্র সরকারের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, একটি পক্ষ ওই ছাত্রীকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। অপরদিকে প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ মির্জা ফিরোজ হাসান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখন অফিসিয়াল আদেশ পাইনি। আদেশ পেলে কাজ শুরু করা হবে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মাহাবুবুর রশিদ তালুকদার কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে ঘটনা তদন্তে উপাধ্যক্ষ মির্জা ফিরোজ হাসান তালুকদারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিট গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটি আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।