পথ পরিবর্তন করে ইয়াবা এখন মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বান্দরবান, জয়পুরহাট ও দিনাজপুর জেলার সীমান্তপথ দিয়ে বাংলাদেশে আসছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অনড় অবস্থানের কারণে কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা প্রবেশের পরিমাণ কমেছে। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক এই তথ্য দেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহরে জেলা পুলিশ লাইনের পুলিশ সিভিক সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মাদকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন ডিআইজি। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনাসহ রেঞ্জের ১১ জেলার পুলিশ সুপাররা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সবাই যে যুদ্ধ করছেন, তার কিছুটা সুফল এসেছে। আপনারা জানেন, এক সময় কক্সবাজার-টেকনাফ সীমান্ত দিয়েই মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসত। সেখানে পুলিশের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা বছরখানেক ধরে চলছে, সেজন্য কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা আর তেমনভাবে আসছে না।
ইয়াবা নতুন পথ খুঁজে নিয়ে দেশের অন্যান্য সীমান্তে ছড়িয়ে গেছে।
আমাদের কাছে তথ্য আছে, ইয়াবা এখন মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বান্দরবান, জয়পুরহাট, দিনাজপুর জেলার সীমান্তপথ দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।
ডিআইজি বলেন, জেলার এসপিদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যে অবস্থানে পুলিশ এখন আছে সে অবস্থানে থাকলে জঙ্গির বিরুদ্ধে যেভাবে জয়ী হয়েছি, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও অচিরেই জয়ী হতে পারবো।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় জুলাই মাসে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, পরোয়ানা তামিল, আলোচিত মামলার রহস্য উদঘাটন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় সাফল্যের জন্য ১৮ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিআইজি।
পুলিশের ভাষ্য, কক্সবাজারের টেকনাফে গত প্রায় এক বছরে পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অন্তত শ’খানেক লোক নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশই ইয়াবা পাচারকারী অথবা ব্যবসায়ী বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মিয়ানমারের সঙ্গে কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তপথকে ইয়াবা আসার মূল রুট হিসেবে দুই দেশের মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছিল। সে পথ এখন ভেঙে দিতে পেরেছেন বলে সভায় জানানো হয়।