× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনা জিআরপি থানায় গণধর্ষণ মামলা / ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে জমা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৪ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

খুলনা জিআরপি থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলার ভিকটিম তিন সন্তানের জননীর মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। গত ১৫ই আগস্ট রিপোর্টটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. অঞ্জন বলেন, গৃহবধূর ফরেন্সিক রিপোর্ট তিনি আদালতে পাঠিয়েছেন। তবে রিপোর্টে কী বলা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আদালতের জিআরও লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের মামলাটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে থাকায় মেডিকেল রিপোর্টটি ওই আদালতে প্রেরণ করা হবে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ভিকটিমকে আগামী রোববার জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তিনি। আর ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্টটি পাওয়ার জন্য তিনি আদালতে আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২রা আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে ফুলতলা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃবধূকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে আটক করে। পরে ওই রাতে তাকে খুলনা জিআরপি থানা হাজতে রাখা হয়। পরদিন ৩রা আগস্ট তার কাছ থেকে ৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তার নামে একটি মামলা দিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ফুলতলার মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ৪ঠা আগস্ট আদালতে জামিন শুনানির জন্য হাজির করা হয়। এ সময় জিআরপি থানায় রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন ভিকটিম।
তিনি বলেন, ওসি উছমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর আদালতের নির্দেশে ৫ই আগস্ট খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান হলে কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ এবং সদস্যরা হলেন, কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ.ম. কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম। এ কমিটি ৬ই আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে। ৭ই আগস্ট ওসি উছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুলকে ক্লোজ করে পাকশি নেয়া হয়। ৮ই আগস্ট পাকশি ও ঢাকা থেকে গঠিত পৃথক দু’টি তদন্ত টিমের সদস্যরা আদালতের অনুমতি নিয়ে জেল গেটে ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে ৯ই আগস্ট ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় মামলা করা হয়। এ মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে ফিরোজ আহমেদকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর