× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সেতু আছে, সংযোগ সড়ক নেই

বাংলারজমিন

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৪ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

সেতু আছে সংযোগ সড়ক নেই মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার হরগজ ইউনিয়নের নয়াপাড়ায়। এমন একটি সেতু এক বছর আগে নির্মাণ করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ওই সেতু দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সেতুর দু’পাশে অ্যাপ্রোচ দেওয়ালে মাটি ভরাট না করায় ওই সেতু জনসাধারণের কোনো কাজে আসছে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা। সাটুরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হরগজ নয়াপাড়া প্রায় ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট সেতু নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পটি নেয়ার সময় সেতুর দু’পাশে ৬৩ হাজার টাকার মাটি ধরা ছিল। কিন্তু মাটি না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যায়।
এদিকে মাটি ভরাট না করায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জামানত আটকিয়ে দেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এদিকে একই অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অফিস হতে ওই সেতুর দু’পাশে মাটি ভরাট করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. আউয়াল হোসেনকে প্রকল্প সভাপতি করে আরো ২.৬৪ টন গম বরাদ্দ দেন। যার আনমানিক মূল্য ৪০ হাজার টাকা। বরাদ্দকৃত টাকায় কোনো কাজ হবে কি হবে না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে স্থানীয় মানুষের। হরগজ নয়াপাড়ার স্থানীয় লোকজন জানায়, হরগজ ইউনিয়ন থেকে দেশে বিভিন্ন স্থানে কাঁচামাল সরবরাহ করা হয়। এই সেতুর কারণে আমাদের গাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ গুনতে হয়। সেতু হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সেতুর দু’পাশে মাটি ভরাট না করায় এ সেতু কোনো কাজেই আসছে না এলাকাবাসীর। এছাড়া সেতুর দু’পাশে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়। শত শত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ সেতু পারাপারে পড়েছে চরম বিপাকে। সাধারণ মানুষের দাবি সেতুটির দ্রুত সময়ের মধ্যে দু’পাশে মাটি ভরাট করে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচল উপযোগী করার দাবি জানান তারা। হরগজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জ্যোতি জানান, ইতিমধ্যে ওই সেতুর দু’পাশে মাটি ভরাট করার জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে মাটি ফেলা হবে। এদিকে তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে বলেন, ঠিকাদার সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে চলে যায় বলে জানায়।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহারিয়া মাহমুদ রনজু জানান, হরগজ নয়াপাড়া সেতুর অ্যাপ্রোচ দেওয়ালে মাটি ভরাট না করায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জামানতের টাকা আটকে দেয়া হয়েছে। আর একই অর্থবছরে আরো ২.৬৪ টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে ওই প্রকল্পের টাকার কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর