নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বসতঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালঙ্কার ও কাপড় লুট করা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল তা কেউ জানাতে পারেনি। খবর পেয়ে গতকাল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এর আগে বৃহম্পতিবার রাতের যেকোনো সময় স্থানীয় ফতেপুর ইউপির বগাদী পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির গৃহকর্তার স্ত্রী রিনা বেগম জানান, সম্প্রত্তি সুরুজ মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী আবুল হোসেনসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলার পর থেকেই আসামি পক্ষের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, বাড়ি খালি থাকার সুযোগে বাদী পক্ষের লোকজন রাতের যেকোনো সময় পরিকল্পিতভাবে ভাঙচুর, লুটপাট ও খড়ের গাদায় আগুনের এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে হত্যা মামলার বাদী জামাল হোসেন বলেন, মামলা থেকে রেহাই পেতে রাতের আঁধারে আসামি পক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে নিজেদের বসতঘর ভাঙচুর ও লটুপাটের ঘটনা সাজিয়েছে। আমাদের ফাঁসাতে তাদের বাড়িতে থাকা খড়ের গাদায় নিজেরাই আগুন দিয়েছে। তিনি বলেন, আমি বা আমাদের কোনো লোকজনই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে এখনই তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।’ প্রসঙ্গত, ২৩শে জুলাই স্থানীয় ফতেপুর ইউপির বগাদী সিডি মার্কেট নামক এলাকায় সুরুজ মিয়ার মৃত্যু হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত আয়েত আলীর ছেলে। পরে হত্যার অভিযোগ করে নিহতের ভাই জামাল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। নিহতের স্ত্রী চন্দ্রবানের অভিযোগ ছিল, প্রধান অভিযুক্ত আবুল হোসেনসহ আরো দুইজনের সঙ্গে সুরুজ মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে মাটি ভরাটে বাধা দেয়ায় তাকে মারধর করা হয়েছে। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।